

শনিবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » রংপুর » নবাবগঞ্জে পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাংবাদিক মতিন
নবাবগঞ্জে পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের হামলায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাংবাদিক মতিন
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম, হিলি (দিনাজপুর):
পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সাংবাদিক আব্দুল মতিন। এবিষয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বড়ভাই এমদাদুল হক। আসামিরা পলাতক রয়েছে, গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলছেন, থানা পুলিশ।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পুটিহার গ্রামের সাংবাদিক আব্দুল মতিন ও তার বড়ভাই এমদাদুল হকসহ পাঁচ ভাই তাদের বাবার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ১ একর ৩৭ শতক জমির একটি পুকুর ভোগ দখল করে আসছেন। পুকুরে সব ভাইয়েরা একত্রে হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। কিন্তু প্রতিবেশী আহসানুল কবির শামীম, নিজামুল হাসান শিশির, আলম ও খরু এই পুকুর তাদের বলে দাবি করে আসছে এবং মাঝেমধ্যে এই পুকুরে তারা মাছ চুরি করে থাকে। এর আগে মাছ চুরির বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে, আদালতে তা চলমান। তবে তাদের এই পুকুরের কোন কাগজপত্র নেই।
এরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল রোববার সকালে সাংবাদিক আব্দুল মতিন পরিবারের লোকজন নিয়ে জেলেদের মাধ্যমে ঐপুকুর মাছ ধরতে যায়। এসময় খবর পেয়ে ১নং বিবাদী আহসানুল কবির শামীম ও ২নং বিবাদী নিজামুল হক শিশিরের নির্দেশে বাঁকি বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, চায়নিজ কুড়াল, তীর ধনুক, দা, পশু কুড়াল , হাঁসুয়া, লোহার রোড ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় নিজেকে বাঁচাতে আব্দুল মতিন দৌড়ে তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তারপরও বিবাদীরা ঐবাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মতিনকে ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় এবং চায়নিজ কুড়াল, রামদা ও পশু কুড়াল দিয়ে আব্দুল মতিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পশু কুড়ালের ডেট দিয়ে তার দুই পা ও এক হাত ভেঙে ফেলে। এছাড়াও তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মাথায় সজোড়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে দেয়। তাকে বাঁচাতে তার চাচাতো ভাইয়েরা ছুটে আসলে তাদেরও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। আব্দুল মতিনের অবস্থা আশঙ্কা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বড়ভাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মতিন বলেন, গত ২১ এপ্রিল সাংবাদিক আব্দুল মতিনের বড়ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিষয়: #নবাবগঞ্জ #পুকুর #সাংবাদিক #হামলায় #হাসপাতাল
