

রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » খেলা » ১২০ কোটি টাকার আলোচিত লেনদেন নিয়ে বিসিবি’র ব্যাখ্যা
১২০ কোটি টাকার আলোচিত লেনদেন নিয়ে বিসিবি’র ব্যাখ্যা
স্পোর্টস ডেস্ক :::
গত কিছুদিন ধরে ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১২০ কোটি টাকার একটি আলোচিত লেনদেন। বিষয়টি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রেক্ষিতে বিসিবি একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে সংস্থাটি দাবি করেছে, আলোচ্য লেনদেন ছিল সুনির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেন কৌশলের একটি অংশ, এবং এটি কোনো একক ব্যক্তির সিদ্ধান্ত ছিল না।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে তার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রীন’ ও ‘ইয়েলো’ জোনভুক্ত, অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও স্থিতিশীল ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বোর্ডের দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
এই সিদ্ধান্ত বিসিবি সভাপতির একক এখতিয়ারভুক্ত নয় বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক লেনদেনে স্বাক্ষরদাতা ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম, দুই পরিচালকের সম্মতি এবং স্বাক্ষরের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিসিবি আরও বলেছে, “জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু অংশে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এবং বোর্ড ও সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
বিসিবি দাবি করেছে, সংস্থাটি সব সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুসরণ করে এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই লেনদেন করে। নতুন ব্যাংকিং কৌশলের অংশ হিসেবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে তাদের স্থায়ী আমানত রেখেছে, যার মাধ্যমে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি মুনাফা অর্জিত হয়েছে।
আরও জানানো হয়েছে, এই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে গত ছয় মাসে বিসিবি আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। পাশাপাশি, অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাসও মিলেছে, যা আর্থিক নিরাপত্তা ও সম্পর্কের দৃঢ়তারই প্রমাণ।
বিসিবির ভাষ্য অনুযায়ী, এই পুরো উদ্যোগ শুধু আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই নয়, বরং বোর্ডের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তারা এটাও দাবি করেছে, বোর্ডের ভেতরের কিছু সুবিধাভোগী মহল ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে এ বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।
বিষয়: #আলোচিত #কোটি #টাকা #নিয়ে #বিসিবি #ব্যাখ্যা #লেনদেন
