শনিবার ● ১৫ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার যানজটে ভোগান্তি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার যানজটে ভোগান্তি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১২ কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট । ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাড়িফেরা মানুষ। এ ছাড়া থেকে থেকে যানজট ছিল ঢাকা-মদনপুর বাইপাস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়কের ১৫ কিলোমিটারেও।
১৪ জুন, শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু থেকে ভুলতা চৌরাস্তা পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা গেছে।
একাধিক যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বলছেন, মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। ঈদযাত্রায় এমন ভোগান্তিতে বিরক্ত যাত্রীরা। এই গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে বেশি কষ্ট পেয়েছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়কটির ১২ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করতে দেখা গেছে। যাত্রামুড়া এলাকায় সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত বেশকিছু ট্রাক ও এস্কেভেটর যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। তারাব চৌরাস্তা, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল মোড়ে মহাসড়ক দখল করে লেগুনা, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ড ছিল আগের মতোই। এসব অবৈধ স্ট্যান্ডে থাকা যানবাহনগুলো সড়ক আটকে যাত্রী উঠানামা করছে।
যাত্রামুড়া বাজার ও তারাব থেকে ভুলতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে বাস ও ট্রাক পার্কিং করে রাখতে দেখা গেছে। রূপসী, বরপা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল মোড়গুলো রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার দখলে ছিল। এছাড়া ভুলতা উড়ালসড়কের নিচের মহাসড়ক দখল করে গড়ে তোলা অন্তত ১২টি অবৈধ স্ট্যান্ডে শত শত যানবাহন পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। মহাসড়কের ১২ কিলোমিটারজুড়েই তিন চাকার ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কজুড়ে কোরবানির পশুবাহী ধীরগতির ট্রাক ছিল অনেক।
নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জগামী এক যাত্রী বলেন, প্রতি টিকিটে ১৮০ টাকা করে বেশি ভাড়া নিয়েছে। কাঁচপুর থেকে রূপসী আসতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। এমনি এই রাস্তায় পাঁচ-সাত মিনিট সময় লাগে। যানজটের জন্য মহাসড়কের বিশৃঙ্খলা আর সড়ক নির্মাণের জন্য বেশি সময় লাগছে বলেন এই যাত্রী।
ঢাকা-সিলেটগামী এক পরিবহনের চালক শহিদুল বলেন, সকালে ঢাকায় ঢুকতে চার ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে। ঢাকা থেকে বের হতে এক ঘণ্টা এবং কাঁচপুর থেকে রূপসী আসতে আরও দেড় ঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়েছে। ঈদের আগে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ না করা, লোকাল বাসের যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, সিএনজি, ইজিবাইক ও লেগুনাগুলো যত্রতত্র থাকায় এমন যানজট লেগেছে।
এদিকে সড়ক নির্মাণকাজ চলমান থাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ঢাকা-মদনপুর বাইপাস সড়কের কাঞ্চন সেতু থেকে ভুলতা মোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট ছিল। তবে একেবারেই ভোগান্তিহীন ছিল ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদযাত্রা।
যানজটের বিষয়ে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আলী আশ্রাফ মোল্লা বলেন, আজ সকাল থেকেই মহাসড়কে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ। তাদের দাবির পরও ঈদের আগে সড়কটির নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। কিছু কিছু গণপরিবহনের যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, সড়ক আটকে সড়কের পাশের কারখানাগুলোর শ্রমিকদের পারাপার, ধীরগতির গরুর গাড়িসহ নানা কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা সাধ্যমত কাজ করছি।
বিষয়: #ঢাকা #সিলেট