শনিবার ● ১৫ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » বিনোদন » #মনস্টার
#মনস্টার
ভার্সিটিতে ঢুকে ক্লাসের দরজা ধাক্কা দিবো এমন সময় ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলাম..
স্যার প্লিজ স্যার ছেড়ে দিন আমায় স্যার আমার ভবিষ্যৎ এই ভাবে নষ্ট করবেন না স্যার প্লিজ!
আরে পা*গ*লি তোর ভবিষ্যৎ তো আমি গড়ে দিবো রে..তুই একটু অপেক্ষা কর শুধু দেখবি সব পরিক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট
স্যার প্লিজ না স্যার এভাবে আমার সর্বনাশ করবেন না।
ওই চুপ বেশি করলে পরের পরীক্ষাতেও ফেইল করিয়ে দিবো কিন্তু..
আমি আর সহ্য করতে পারলাম নাহ..
দরজা ধাক্কা দিয়ে দিলাম..
ধাক্কা দিতেই স্যার নিজের প্যান্ট পরে নিলো আর মেয়েটা দৌড় দিয়ে বাহিরে চলে গেলো…
এই তুই কে ? সাহস কিভাবে হলো এইখানে আসার?
আরে স্যার এটা আমার ক্লাস রুম।
ক্লাস শুরু হতে আরোও ৩ ঘন্টা পরে..
ও মা গো স্যার আমার ঘড়ি নষ্ট আমি জানতাম না।
যা ভাগ হা*রা*মি…
আমি চুপচাপ চলে আসলাম..
ঘড়িতে সময় ১০টা
ভার্সিটির মোস্ট সিনিয়র রা..এসে হাজির..
গেটের সামনে দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে আয়ান..
প্রায় সব সিনিয়র দের চোখেই, জিনিসটা পড়তেছে..
কিন্তু আয়ান কিছুই মানতেছে না…
অনেক্ষন ধরে শিমুল জিনিসটা লক্ষ্য করতেছে..
সে আয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়..
কিরে সিনিয়র দের সম্মান দিতে হয় তুই জানিস না ?
কে সিনিয়র ?
ভাই কোন ইয়ার এ তুই? আগে তো দেখি নাই..
আরে ভাই সিগারেট আমি খাইতেছি আর জলতেছে তোর? মানে বুঝলাম নাহ..
তোর কি আদব কায়দা নাই!
নাম আয়ান..সাবজেক্ট ম্যাথম্যাটিকস.. ইয়ার ৪র্থ..
এতো দিন ক্লাস করি নাই.জাস্ট এক্সাম দিছি অনলাইনে,আর কোন ডিটেলস?
আয়ানের কথা শুনে শিমুল থ…
কিন্তু তুই অনলাইনে কিভাবে এক্সাম দিলি?
ভার্সিটি আমার বাবার তাই..
কি?
হে..
তুই ওই আব্বাসের ছেলে??
হুম..আয়াত মুশতারিহ আয়ান..
আরে ভাই কি বলবো তোকে!
তোকে দেখার কতো চেষ্টা করছি কি ভাগ্য আমাদের আমরা তো ভাবছি তুই কোন পল্টি মুরগী তাই বাসা থেকে বের হস নাহ..
হা হা..
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সেখান থেকে উঠে যায় আয়ান..
সামনে অনেকেই পরে..
জানাজানি হয়ে যায়..আব্বাস স্যার এর ছেলে ভার্সিটিতে আসছে..
কালো চুল চোখে চশমা হাতে ঘড়ি কালো শার্ট ছেড়া জিন্স মনে হচ্ছে ছবি করার জন্য নায়ক চলে আসছে..
আয়ান ভার্সিটিতে আসছে খবরটা প্রায় সবাই জানলেও কিছু সংখ্যাক লোক জানে না।
আয়ান ভিতরের দিকে যেতেই কিছু ছেলে তাকে ডাক দেয়..
সম্ভবত ৩ বর্ষের ছাত্র
এই,দিকে আয় তো..
জি বলেন..
ওই যে মেয়েটা দেখতেছিস তাকে গিয়ে কি-স করবি।
কি?
হ্যাঁ..
আয়ান সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে..
কেনো যেনো আয়ানের মেয়েটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হলো..
বিশেষ করে তার পাতলা ঠোটের গঠন দেখে..
আয়ান কিছু না বলে মেয়েটার কাছে যায়..
হাই আমি আয়ান..
তো!
এই দিকে আসো একটু কাজ আছে..
কি কাজ??
আসতে বলছি আসো।
আয়ানের কথায় মেয়েটি আয়ানের কাছে যায়..
এই তোকে না কি-স করতে বলছি? তুই ওকে এখানে নিয়ে এলি কেনো?
আয়ান পকেট থেকে সিগারেট টা বের করে মুখে দেয়..
এই তোর সাহস তো কম না।
আয়ান : জুতা খুলো..
মেয়েটিকে বলে
মেয়েটি : কি?
আয়ান : জুতা খুলতে বলছি জুতা খুলো..
মেয়েটা : মানে কি??
আয়ান : খুলতে বলছি না তোকে?
মেয়েটি আয়ানের কথায় ভয় পেয়ে কেপে উঠে আর জুতা হাতে নেয়..
মা-রো ওদের ইচ্ছা মতো পি*টা*বা..
মানে?
যা বলছি তাই করো..
এই তোর সাহস তো কম নাহ..আমাকে জুতা দিয়ে মা*র*তে বলিস? দেখছিস আমরা কয়জন আছি? আমরা ধরলে পারবি তুই?
আয়ান হেসে দেয়..
যারা গ্যাং নিয়ে চলে তাদের গ্যাংস্টার বলে..কিন্তু যারা একা আছে তাঁরা মনস্টার..
বলেই ধুমধাম ঘু*ষি দেওয়া শুরু করে দেয়..
তার মা*র দেখে পুরো কলেজ সেখানে এসে এক হয়ে যায়।
অনেক মা*রা*র পরে কয়েকজন স্যার এসে তাঁকে আটকায়..
শা*লা রেগিং করার লোক আর খুঁজে পাস না..মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলবি তো খেয়ে ফেলবো একেবারে।
আয়ানের বাবা এইগুলো শুনে তাকে অফিসে ডাকে..
আয়ান সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আয়ানের বাবা কিছু বলতে যাবে এমন,সময় খবর আসে কলেজের বিল্ডিং এর উপরে একটা স্যারের লা*শ পাওয়া যায়।
আব্বাস স্যার আর আয়ান সেখানে যায়..
সেখানে গিয়ে দেখে যেখানে পতাকা টানানো থাকে সেখানে লা*শ ঝুলছে স্যার এর..
তাও আবার উ*ল*ঙ অবস্থায়..
আবার লি*ঙ নেই..
এমন দৃশ্য দেখে সবাই অবাক..
পুলিশকে খবর দেয়..
পুলিশ এসেও বুঝতে পারে না এমন নির্মম ভাবে কে মা*র*ল স্যার কে?
আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো স্যারটি আর কেউ না সকালে যে মেয়েটিকে জোড় করছিলো এই স্যার হচ্ছে সেই স্যার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #ফেসবুক #মনস্টার #মাধ্যম #যোগাযোগ #সংগৃহীত #সামাজিক