রবিবার ● ১৬ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শেষ মুহূর্তে সরগরম পশুর হাট
শেষ মুহূর্তে সরগরম পশুর হাট
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি পশুর হাট। দিনে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও বিকেল নাগাদ বাড়তে থাকে ক্রেতা।
সন্ধ্যা পেরোনোর পরই ক্রেতাদের ঢল নামে প্রতিটি হাটে। কেনাবেচাও হয়েছে আগের কয়েক দিনের তুলনায় বেশ ভালো। শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার দুই সিটির বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এতদিন রাজধানীর হাটগুলো কোরবানির পশুর কেনাবেচা তেমন একটা না হলেও শনিবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এদিন বিকেল থেকে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকেই তাদের পছন্দের পশু কিনে বাড়ি ফিরেছেন। বেচাকেনা বেশি হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। তবে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় পশু বিক্রি না করে রেখে দিয়েছেন শেষ দিনের আশায়।
হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও ক্রেতারা বলছেন, ব্যাপারীরা দাম ছাড়ছেন না। দাম বেশি চেয়ে বসে থাকছেন। আবার ব্যাপারীরা বলছেন, বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর ক্রেতা কম আসছে। তবে গতকাল রাজধানীর হাটগুলোতে প্রচুর গরু বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভাষায় বিক্রির ধুম।
ঢাকার সবগুলো হাটেই কোরবানির পশু ভালোই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে মাঝারী গরুর চাহিদা বেশি অধিকাংশ হাটে। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বছিলা ৪০ ফিট হাট ঘুরে জানা গেছে, সেখানে মাঝারী গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। এক লাখ ২০ থেকে এক লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে দারুন গরু মিলছে। ফলে সকাল থেকে গরুর বিক্রি বেড়েছে।
এ হাটে কুষ্টিয়া, নড়াইল, যশোর, বগুড়া ও পাবনা থেকে অনেক বেপারী গরু নিয়ে এসেছেন। বেপারী নিয়ামত ১৮টি গরু আনেন বসিলা হাটে। ইতোমধ্যে ১৩টি বিক্রি করেছেন। এসব গরু এক লাখ ৩০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে বিক্রি করেছেন। এখন পাঁচটা গরু বাকি আছে। আজকের মধ্যে এগুলোও বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর মেরাদিয়া হাটে পর্যাপ্ত পশু এসেছে। হাটের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। এই হাটে গরু কিনতে এসে মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, এবার হাটে প্রচুর কোরবানির পশু এসেছে। ছোট, বড়, মাঝারি সব প্রজাতির গরু, ছাগল এসেছে। তবে দাম অন্য বছরের তুলনায় একটু বেশি।
গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, এখন ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া বাজারে প্রচুর ছাগলও উঠেছে। কেনাবেচাও বেশ জমে উঠেছে। ছোট খাসির দাম ১০-১৫ হাজার টাকা। মাঝারি খাসি ২০-২৫ হাজার এবং বড় জাতের খাসি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
খিলগাঁও রেলওয়ে কলোনি-সংলগ্ন পশুর হাটেও বিভিন্ন সাইজের প্রচুর পশু এসেছে। এখানেও কেনাবেচা বেশ জমে উঠেছে। এই হাটের উজারাদার হামিদুল হক (শামিম) জানান, গত কয়েকদিন খুব একটা কেনাবেচা হয়নি। ক্রেতা-বিক্রেতা ও বেপারিরা একটু বুঝেশুনে নিয়েছেন। আজ সকাল থেকে কেনাবেচার ধুম লেগেছে, আগামীকালও ভালো বিক্রির আশা করছেন তিনি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসেনি।
বিষয়: #পশু #হাট