বুধবার ● ১৯ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ২০২২ সালের মতো বন্যার আভাস সিলেটে
২০২২ সালের মতো বন্যার আভাস সিলেটে
২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেটবাসী যে দুর্ভোগে পড়েছিল সেই পরিস্থিতির আভাস জানান দিচ্ছে এবারের বন্যা। জুন মাসটি যেন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য দুর্ভোগের মাস হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে অসময়ে বন্যার কবলে পড়তে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।
২০২২ সালের পুরো জুন মাসে সিলেটে যে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি রেকর্ড হয়েছে চলতি জুন মাসের ১৮ দিনে। পুরো মাস শেষে রেকর্ডের পরিমাণ হয়তো ২ হাজার মিলিমিটার ছাড়িয়ে যাবে। হতে পারে নতুন রেকর্ডও এমন তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর তথ্যমতে, দুই বছর আগের জুন মাসে সিলেটে বৃষ্টিপাত হয় ১৪৫৬.২ মিলিমিটার। এবার মঙ্গলবার সন্ধা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয় ১৭০৮.৬ মিলিমিটার। এর আগে ২০২০ সালের জুন মাসে ৬৫১, ২০২১ সালে ৬৭০ ও ২০২৩ সালে ১৩৬৫.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সিলেট।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, জলবায়ু পরির্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের এ তারতম্য হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলোচনায় উপ বিদ্যুৎকেন্দ্র: ২০২২ সালের বন্যার সময় দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি বিদ্যুতের উপকেন্দ্র (সাব-স্টেশন) রক্ষার জন্য কাজ করা হয়েছিল। এবারও মঙ্গলবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দুই বছর আগে বন্যার ঝুঁকির মুখে থাকা সেই কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু দুই বছরেও করতে পারেনি। এবারের বন্যায় উপকেন্দ্রটি আলোচনায় আসে মঙ্গলবার সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পরিদর্শনের সময়। তিনি তখনই জানতে পারেন বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণে তথা মেশিনারিজ উঁচু করে রাখাসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই বছরেও তা হয়নি। তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি কাজের দরপত্র আহবান করেছে বলে জানা গেছে। উপকেন্দ্রটি রক্ষায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্যুৎ, পাউবো ও সিটি করপোরেশনের লোকজন সহয়তা করছেন। সন্ধায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কাজ চলছে।
বিষয়: #সিলেট