

শুক্রবার ● ২১ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা » কবিতা গানে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় তারুণ্যের কবি রুদ্রকে স্মরণ
কবিতা গানে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় তারুণ্যের কবি রুদ্রকে স্মরণ
মনির হোসেন, মোংলা :
কবিতা গানে শ্রদ্ধায় ভালবাসায় তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহকে স্মরণ করল মোংলাবাসী। ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২১ জুন) সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে একটি শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি কবির গ্রামের বাড়ি উপজেলার মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে তার কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় কবির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া মসজিদে কোরআন খতম ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও-এর শিল্পীরা রুদ্রের গানের আয়োজন করেছে। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর স্মরণ সভায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের রুদ্রের অনুজ সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম শেখ, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বরিশাল রেডক্রস হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। এ বছর তিনি একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত হন। শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকোসহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দুইবার ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।
বিষয়: #কবিতা