বৃহস্পতিবার ● ২৭ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা » রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কেউ; বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কেউ; বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
::মহানন্দ অধিকারী মিন্টু::
খুলনার পাইকগাছায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১০/১২ পোল্ডারে বেড়িবাঁধ ভেঙে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। উপজেলার ৬নং লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া মিনাজ বাজার সংলগ্ন বদ্ধ মিনাজ নদীর বাঁধের উপর পিচের রাস্তা সহ মিনাজ বাজার হইতে ১০নং গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী মসজিদ সংলগ্ন ২ কিলোমিটার ওয়াপদার বাঁধ অংশ বিশেষ ভাঙ্গিয়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন লস্কর, গড়ইখালী, চাঁদখালী ও পাশ্ববর্তী কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়ন যেকোন মূহুর্তে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় মৎস্য চাষী সঞ্জীব রায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রালয়, দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রালয়, খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী পওর শাখা-২ ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট লিখত আবেদ করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করেন আনুমানিক ১১০ বিঘা জমি প্রকৃত জমির মালিকদের নিকট হইতে মৎস্য লীজ ঘের এগ্রিমেন্ট গ্রহণ করে ২০১৬ হইতে অদ্যাপি চারিপার্শ্বে মাটীর টেঁকসই বেড়িবাঁধ প্রদানে কলগই, বাসাবাড়ি প্রতিপালনে মৎস্য চাষ করিয়া আসিতেছে। এগ্রিমেন্ট মেয়াদকাল ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত। মৎস্য লীজ ঘেরটি ওয়াপদা রাস্থার বাহিরে অবস্থিত। ঐ মৎস্য ঘেরটি বাউন্ডারী মধ্যে কড়–লিয়া নদীর পার্শ্ববর্তী পিচের ২ কিলোমিটার রাস্তা আছে। পিচের রাস্তার গায়ে নদীর লবণপানি লাগিয়া ক্ষতি না হয় তজ্জন্য ২০২০ সালে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেকো মিশিন দিয়ে মাটি ভরাট করেন। কিন্তু তৎকালীন গড়ইখালী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম (কেরু) রাজনৈতিক প্রভাব খাটাইয়া ভয়ভীতি প্রদর্শনে আবারও কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে বর্ণিত মাটি প্রতিস্থাপনে বাধ্য করেন। এমন অবস্থায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করিয়া আসিতে থাকিলে সর্বনাশা রিমেল ঝড়ে নদীর অতি জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গিয়া প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। দুই কিলোমিটার পিচের রাস্তার কোথাও কোথাও পানি উপচে রাস্তা চরম ক্ষতিগ্রস্থ সহ বদ্ধ মিনাজ নদীর পানি বাঁধের দক্ষিণ সীমানা উপচে রাস্তা ভাঙ্গিয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। নিজ উদ্যোগে কোন রকম রাস্তাটি রক্ষা করলেও আশঙ্কা জনক। রিমেল ঝড়ে এ মৎস্য চাষী আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হয়েছেন। সরকারি ২ কিলোমিটার সরকারি পিচের রাস্তা সহ যে কোন মূহুর্তে বদ্ধ মিনাজ নদীর বাঁধ ভাঙ্গিয়া দুই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান। এ পর্যন্ত কোন সরকারি কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি আগ্রাসী রিমেল ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন সহ বদ্ধ মিনাজ নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দ্রæত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার না করলে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীরা।
বিষয়: #ক্ষতিগ্রস্ত #বেড়িবাঁধ