শুক্রবার ● ২৮ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খেলা » বিশ্বাস রাখেন ভালো জয় উপহার দিবো: তাসকিন
বিশ্বাস রাখেন ভালো জয় উপহার দিবো: তাসকিন
বজ্রকণ্ঠ নিউজ ডেস্ক:
হতাশার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলগতভাবে বাজে পারফরম্যান্স করলেও কারো কারো পারফরম্যান্সে বেশ খুশি তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাই ইতিবাচক দিকগুলোর দিকেও নজর দিতে বলছেন সবাইকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম সুপার এইটে উঠেছে বাংলাদেশ। যদিও দলটির সক্ষমতা ছিল অন্ততপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার। শেষ চারে না উঠতে পারার আক্ষেপ আছে তাসকিনেরও। তবে পুরো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিবাচক পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
দেশে ফিরে বিমান বন্দরে তাসকিন বলেন, ধীরে ধীরে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পরিসংখ্যান শুরু থেকে খুব একটা ভালো ছিল না। আগের থেকে তো উন্নতি হচ্ছে। শুধু মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিই তো মাইনাসে আছি আমরা। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তো করেই যাব, আপনারা হতাশ হচ্ছেন স্বাভাবিক, আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দিবো, বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।
তাসকিন বলেন, ইতিবাচক সাইন আছে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বোলিং বেশ ভালো করেছে। সুপার এইটে উঠছি। সর্বপ্রথম এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। ইতিবাচক আছে, কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। আসলে সবার মতো আমরাও একটু হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।
এবারের বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। পেসার তানজিম সাকিবও দেখিয়েছেন ঝলক। বল হাতে এই পেসারের উইকেট সংখ্যা ১১টি। তাদের পারফরম্যান্সে বেশ সন্তুষ্ট তাসকিন।
পুরো বোলিং ইউনিটকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তিনি বলেন, মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।
তিনি বলেন, বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই লাস্ট কিছু বছর ধরে ভালো উন্নতি করে আসছে। এবং সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখছে। আল্লাহর রহমতে সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নাই। ধরেন আমরা আরও অনেক ভালো হইতে পারতো। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি প্রথমে, ১২ ওভারের মধ্যে। পরে যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকই বেশি, মানছেন তাসকিন, হ্যাঁ, ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং বিভাগ যথেষ্ট ভালো করেছে। সুপার এইটে উঠেছি। সর্বপ্রথম এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু নেতিবাচকের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও একটু হতাশ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।
আপাতত বাংলাদেশকে প্রাপ্তি খুঁজে নিতে হচ্ছে বোলারদের দেখে। ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসছেন দেখে অগ্রদূত তাসকিনই তৃপ্ত, তানজিম সাকিব, রিশাদ ওরা সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের মধ্যে ছিল, সেরা পাঁচে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসবে। এর মধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে বিভিন্ন সামর্থ্য আছে।
এখন আসলে যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে, আমরা সবাই ব্যথিত, হয়তো সমর্থকরাও হতাশ। বিশেষ করে কয়েকটা ম্যাচ হয়তো আমাদের জেতার কথা ছিল, সে অনুযায়ী পারিনি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা আমরা ১২.১ ওভারে আমাদের সবারই পরিকল্পনা ছিল জেতার। আমরা সে ইনটেন্ট নিয়েই খেলা শুরু করেছি। একটা পর্যায়ে যখন দেখলাম যে, মনে হচ্ছে আর হবে না ১২ ওভারে, তখন স্বাভাবিকভাবে জেতার চেষ্টা করার পরিকল্পনা হয়। তারপর আমরা ওটাও চেষ্টা করে পারিনি। এখন আর কী করার।
তাসকিনের এই কথাটাতে কতটা আক্ষেপ, হতাশা, বেদনা লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হওয়ার কথা নয় কোনো টাইগার ফ্যানের।
বিষয়: #তাসকিন #বিশ্বাস