শনিবার ● ২৯ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা » ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও রাস্তার নীচে অবৈধ পাইপ স্থাপন
ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও রাস্তার নীচে অবৈধ পাইপ স্থাপন
::মহানন্দ অধিকারী মিন্টু::
খুলনার পাইকগাছার বিভিন্ন পোল্ডার এলাকায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন রাস্তার নীচে পাইপ বসিয়ে চিংড়ি ঘেরে পানি সরবরাহে বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে পাইপ সংযুক্ত এলাকার বেড়িবাঁধ ও রাস্তাসমূহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলায় লবণপানিতে ধ্বংস হচ্ছে প্রাণপ্রকৃতি আর এ অঞ্চল হচ্ছে বসবাসেরে অযোগ্য। সর্বশেষ ২৬ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রিমালে এসব এলাকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও এলাকবাসীর পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাউবো কিংবা উপজেলা প্রশাসন কারোর বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি এঘটনায় স্থানীয় বিশিষ্টজনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি ও স্থির ও ভিডিও চিত্র পোষ্ট করেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করাতে পারেনি। অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ২০নং পোল্ডার এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বলা হচ্ছে, হানি বাজার হতে যকারহুলা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ না হতেই এবং রেখামারী-নড়া-২ পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে পানি সরবরাহে পাইপস্থাপন করায় ওইসব এলাকায় ভেঙ্গে পোল্ডার অভ্যন্তরে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। এলাকাগুলির অবস্থা এখনো অত্যন্ত নাজুক। এলাকা দু’টির আশপাশে এখনো অন্তত ২০টিরও বেশি পাইপ রয়েছে। উপজেলার লতা ইউনিয়নের খেঁয়াঘাট থেকে চকরিবকরি এলাকার জনৈক নিরাপদর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি অন্তত অর্ধযুগ ঝুলে থাকা কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সর্বশেষ রাস্তাটির বিভিন্ন পাইপ প্রতিস্থাপিত এলাকায় ভেঙ্গে গিয়ে রাস্তা উপচে পানি ঢুকে পড়ে। স্থানীয় আলোকদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আইডিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধ শতাধিক এলাকার স্থিরচিত্র পোষ্ট করে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন। তিনি লেখেন, বাইনচাপড়ায় চলমান ইটের সোলিং কাজের ইটসহ রাস্তার ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ পাইকগাছাকে লবণপানি মুক্ত মিষ্টি পানির জন্য যে আন্দোলন করছেন তবে এসব অবৈধ পাইপ উচ্ছেদ না করে কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। এসময় তিনি সমস্যা সমাধানে পরামর্শ হিসেবে বেড়িবাঁধ থেকে সব ধরনের পাইপ উচ্ছেদের পাশাপাশি পূণর্বাসন হিসেবে প্রয়োজনে এসব এলাকায় ¯øুইচগেট নির্মাণ ও আক্রান্ত রাস্তা বা বেড়িবাঁধগুলো ৪/৫ ফুট উচু করণের পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি এই মূহুর্তে রাস্তা নির্মাণ বা কার্পেটিংয়ের পূর্ব শর্ত হিসেবে তিনি পাইপ অসারণের কথা বলেছেন এবং রাস্তার পাশে জিওব্যাগ ব্যবহারেরও পরামর্শ রয়েছে তার। এদিকে পাইকগাছার প্রত্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন ওয়াপদার বাঁধ ও রাস্তার নীচে লবণপানি সরবরাহের জন্য ঘের মালিকদের অবৈধ পাইপ প্রতিস্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে সংশ্লিষ্ট এলাকা ক্ষতিগ্রস্খ হওয়ার ইতিহাস বেশ পুরনো। বিভিন্ন সময় এনিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীদের সরব থাকতে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়: #বেড়িবাঁধ #রাস্তারনীচে পাইপস্থাপন