

মঙ্গলবার ● ২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এমপি আনার হত্যা: এবার দায় স্বীকার করলেন মোস্তাফিজুর
এমপি আনার হত্যা: এবার দায় স্বীকার করলেন মোস্তাফিজুর
বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার মোস্তাফিজুর রহমান।
২ জুলাই, মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন আসামি মোস্তাফিজুরকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
এসময় মোস্তাফিজুর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
এর আগে গত ২৬ জুন হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এ মামলায় দুই পলাতক আসামি ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি। ২৭ জুন আসামি মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আলী শাজীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামি ফয়সাল আলী শাজী বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার অভিযোগে ডরিন উল্লেখ করেছেন, আমরা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেলে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার ফোন বন্ধ পাই।
এরপর গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা আসে। বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
বিভিন্ন জায়গায় বাবাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।
এদিকে, আনারকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আদালত। সিয়াম বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছে।
বিষয়: #আনার #এবার #এমপি #করলেন #দায় #মোস্তাফিজুর #স্বীকার #হত্যা