বুধবার ● ৩ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » হবিগঞ্জ » নবীগঞ্জের এক শিশু লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়- টাকার অভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাক- সবজি বিক্রয় করছে!
নবীগঞ্জের এক শিশু লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়- টাকার অভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাক- সবজি বিক্রয় করছে!
বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র আট বছরের শিশু ফয়েজ মিয়া সে তার গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার সহপাঠিরা ভাল কাপড় ছোপড় পড়ে স্কুলে আসে। কিন্তু ফয়েজের বাবার অবস্থা অসচ্চল হওয়াতে সে কখনো ভাল কাপড় ছোপড় পড়ে স্কুলে যেতে পারেনি। তার সহপাঠীদের সাথে ভাল ভাবে চলাফিরা বা কথাবার্তা বলতে পারেনি! এমন কি সকল ছাত্রই কম বেশ টাকা পয়সা নিয়ে স্কুলে এসে প্রতিদিনই ১০/১৫ টাকা খরচ করে। কিন্তু ফয়েজ তার মতো করে না পারে চলতে, না পারে খেতে, না পারে কাপড় ছোপড় পড়তে। সে বিভিন্ন সময় তার বাবা-মা ও স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের অগোচরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তার গ্রামের পাশের হাওড় ও বিল থেকে কলমী শাক তুলে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে আসছে।
এ ব্যাপারে (৩ জুলাই) বুধবার দুপুরে তার সাথে কথা হয় নবীগঞ্জ শহরতলীর জে, কে হাইস্কুলের সামনে। তার কাছ থেকে অজান আরো অনেক কিছু জানা যায়। সে বলে, আমি লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চাই। এতে, আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সংসারের অভাব-অনটন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের কয়েকজন যুবক এর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ফয়েজ শুধু নবীগঞ্জ বাজারে নয় সে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে কলমী শাক, লতা, কচু, শাপলা ফুল বিক্রি করতে দেখা যায়।
ফয়েজের মতো আরো অনেক শিশুরাই সংসারের অভাবে টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন পেশা বেঁচে নিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হাট বাজারের চা- স্টল, মুদির দোকান সহ অটোরিক্সা চালাতে দেখা যায়। সমাজের বিত্তশালীর ব্যক্তি যদি নিজ- নিজ এলাকার হতদরিদ্র শিশু- কিশোরদের পাশে দাঁড়ান তাহলে হয়তো আজকেই এই শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ওরা অকালে ঝরে গিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে না। এমনকি কোমলমতী শিশুরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে লেখা পড়া করার জন্য টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন হাট বাজারে শাক সবজি বিক্রি করতে হবেনা।
বিষয়: #এক #টাকা #নবীগঞ্জ #পড়া #লেখা #শিক্ষিত #শিশু #হতে