বুধবার ● ৩ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » টানা বৃষ্টিতে বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
টানা বৃষ্টিতে বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
জামালগঞ্জ প্রতিনিধি , বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
টানা বৃষ্টিতে জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। এতে যাত্রী পাচ্ছেন না রিক্সা অটোরিক্সা ও সিএনজির চালকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলা সদরের সাচনাবাজার এলাকায় যাত্রীর আশায় বসে থাকতে দেখা যায় অনেক চালককে। গত চার দিন ধরে উপজেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা ও মাঝারি আবার কখনও ভারী বর্ষণে উপজেলার অনেক রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী ও মৎস্যজীবী মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুই তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এদিকে গবাদিপশু ও সবজি ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বেশিরভাগ কৃষক। বেশির ভাগ জায়গায় পানি থাকায় ঘর থেকে গরু, ছাগল বের করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ক্ষতির মুখে পড়েছে আগাম চাষ করা সবজি। উপজেলা সদরের ভীমখালি, সাচনাবাজার, ফেনারবাঁক, জামালগঞ্জ উত্তর এবং বেহেলী ইউনিয়নে পানি উঠে যাওয়ায় সবকটি রাস্তায় লোকজন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রায় ৫৮০টি ছোট-বড় পুকুরে মাছ ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬১ লক্ষ টাকার মত হবে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে অনেক কৃষক। তবে সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। জামালগঞ্জ, সাচনা বাজার, নোয়াগাঁও, মান্নান ঘাট, সেলিমগঞ্জ বেহেলী, রামনগর বাজারসহ দোকানপাট বন্ধ দেখা যায়। নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরাও দুর্ভোগে পড়ছেন।
জামালগঞ্জে যাত্রীর আশায় বসে থাকা রিক্সা চালক আব্দুস সাত্তার, অটোবাইক চালক শাহাবুদ্দিন, মোটরবাইক চালক মোহাম্মদ হাশেম, সিএনজি চালক হোসেন আলী, জুতা সেলাইয়ের কাজ করা ধীমান রবি দাস জানান, চার দিনের টানা বৃষ্টিতে তারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। রুজির আশায় বৃষ্টিতে ভিজে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা। তবে রোজগার হচ্ছে না।
দক্ষিণ কামলাবাজ গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় শাফিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠেছি। খাদ্য সংকটের কারণে অর্ধেক হয়ে গেছে পশুর স্বাস্থ্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণে আউশ ধানের ২৫ হেক্টর জমি ক্ষতি হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন শাকসবজি ও তরমুজের প্রায় ১২ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
বিষয়: #টানা #নিম্নআয় #বৃষ্টি #মানুষ