শনিবার ● ৬ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১দিনে উদ্ধার হলো ৩টি লাশ।।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১দিনে উদ্ধার হলো ৩টি লাশ।।
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১দিনে উদ্ধার হলো ৩টি লাশ।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়,৬জুলাই (শনিবার)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের কামালখানী এলাকায় বাড়ির পাশে হাওরের মধ্যে রুমা আক্তার(১৮)এর লাশ পড়ে থাকতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৮টার দিকে রুমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেন।
অন্যদিকে ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়ন এর আড়িয়ামুগুড় এলাকা থেকে সিপ্রা রাণী দাস(২৩)নামের একজন নিজ বাড়ির মাচার উপর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন।
পরে থানা পুলিশকে অবগত করা হলে সকাল ৯টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিপ্রা রানী দাসের লাশটি উদ্ধার করেন।
এছাড়াও গতকাল ৫জুলাই(শক্রুবার) বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাওরের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক নৌকার মাঝি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই নিখোঁজ হওয়া নৌকার মাঝির লাশ ৬জুলাই(শনিবার) ঘটনার ১৭ ঘন্টা পর হবিগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া নৌকার মাঝি চান মিয়া(৩২)এর লাশটি উদ্ধার করার বিষয়টি আমাদেরকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন স্হানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এরশাদ আলী।
সূত্রে জানাযায়, ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে বর্ষার পানি দেখতে হাওরের মধ্যে ভ্রমনে আসা একদল অতিথিদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন স্হানীয় এক নৌকার মাঝি।
ঘটনাটি ঘটেছে,হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হলিমপুর হাওরের মধ্যে।
নিখোঁজ নৌকার মাঝি ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ডের বাথাকান্দী গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার পুত্র চান মিয়া(৩২)।
গতকাল ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যার পূর্বে আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা ভ্রমন পিপাসুদের নিয়ে কাগাপাশা বাজার থেকে চান মিয়ার ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে হাওরের মধ্যে রওয়ানা হন সবাই।
বর্ষার পানিতে হাওরের বিভিন্ন স্হান দর্শন করেন।
এক পর্যায়ে হলিমপুর কাগাপাশা সড়কের পাশের একটি ডোবার কাছে বিদ্যুৎতের তারের সাথে বাঁশ লগী জড়িয়ে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নৌকার মাঝি চান মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন।
এসময় নৌকায় থাকা লোকজন চান মিয়াকে খুঁজাখুজি করেন।
কিন্তু তারা কোথাও না পেয়ে বিষয়টি চান মিয়ার এলাকাসহ হলিমপুর এলাকাবাসীকে অবগত করেন।
তারপর উভয় এলাকার লোকজন বড় হুসনা জাল দিয়ে ঐ ডোবাসহ আশপাশের অনেক জায়গায় খুঁজা খুঁজি করেন।
এভাবে কয়েক ঘন্টা খুঁজাখুঁজি করেও চান মিয়ার সন্ধান ৫জুলাই গতকাল পাওয়া যায়নি বলে মুঠোফোনে রাত ৯টার দিকে নিশ্চিত আমাদেরকে নিশ্চিত করেন নিখোঁজ
চান মিয়ার ইউপি সদস্য(মেম্বার) সামায়ূন মিয়া।
এব্যাপারে ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদ আলীর সাথে আজ(শনিবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চান মিয়া নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,গতকাল ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যার পূর্বে আমার এলাকায় ঘুরতে আসা কিছু ভ্রমন পিপাসুগনদেরকে নিয়ে হাওর দেখাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিখোঁজ হয় নৌকার মাঝি চান মিয়া।
এই চান মিয়া আমার এলাকার স্হায়ী বাসিন্দা।
উপরে উল্লেখিত স্হানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অবগত করে বলেন,
এলাকাবাসী তার সন্ধানে খুঁজ করেও পান নাই।
তাই তিনি নিখোঁজ এর বিষয়টি হবিগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসসহ ডুবুরি দলকে অবগত করেন।
রাত হওয়াতে তারা আজ ৬ জুলাই (শনিবার)সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি নিখোঁজ চান মিয়াকে উদ্ধার করতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।
এছাড়াও আমি নিজে সরজমিন উপস্থিত হয়ে এলাকার হাজারো লোকজন নিয়ে ডুবুরি দলের পাশাপাশি সন্ধানের কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান।
এমনকি দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজে আমাদেরকে নিখোঁজ নৌকার মাঝি চান মিয়া উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাশ উদ্ধারের ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রুমা আক্তার মৃগী রোগী ছিলো এবং সিপ্রা রানী দাস মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলো বলে জানতে পেরেছি।
তবে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে এসব মৃত্যুর পাছনেও পুলিশের পক্ষ হতে তদন্তধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়: #উদ্ধার #বানিয়াচং #লাশ #হবিগঞ্জ