বৃহস্পতিবার ● ১১ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ইউপি চেয়ারম্যান সদস্যসহ ২২ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা
ইউপি চেয়ারম্যান সদস্যসহ ২২ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
ছাতকে দাবীকৃত চাদা না দেয়ায় অতকিত হামলা মারধর ভাংচুর ক্যাশ লুটপাট ও দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সদস্যসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার ৫ দিন পর উপজেলার ইনলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল,ইউপি সদস্য সাজ্জাদসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ মামলা রুজু করেছেন পুলিশ ।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সাবেক ছাত্র শিবিরের নেতা।তার বিরুদ্ধেচুরি,মারামারি,লুটপাট থানায় হামলা ও নাশবতাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই চেয়ারম্যানসহ আসামিরা কেউ আটক করতে পারেনি পুলিশ।
চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলার এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
উপজেলার ইসলামপুর ইউপির ইউনিয়নের গনেশপুর নোয়াগাও গ্রামের মৃত হাজী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বাবুল আহমদ বাদী হয়ে গত ৮ জুলাই ইউপির চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল ও মেম্বার সাজ্জাদসহ ২২জনের নামে মামলা অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,গত ৭ জুলাই রাতে ছাতক বাজার পুরাতন কাস্টম রোডস্থ মোসার্স জে,আলম এন্ড ব্রাদার্সের বেআইনী ভাবে জনতাবদ্ধে অনাধিক প্রবেশ করে চাদা দাবি,বেড়ধর মারপিট,হামলা ভাংচুর লুটপাট করে। এসময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ির কাছে ১০লাখ টাকা চাদা দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল ও সদস্য সাজ্জাদসহ ২৫ ৩০ জন লোকজন।
চাদা না দেয়ায় ব্যবসায়ির ওপর দেশী অস্ত্র নিয়ে অতকিত হামলা ভাংচুর মারধর ও ক্যাশ ভেঙ্গে ২লাখ ৮৯হাজার ৯শত ৫৪ টাকা ছিনিয়ে নেন।
এ হামলা ভাংচুর ও বাবুলকে মারপিট করায় তার ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ টাকা লুটপাটের এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই বিকালে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এ থানায় মামলা করেন।
আরও জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গত ২৯ জুন প্রকাশ্যে চেলা নদী ফুলফুলি বিলে চলমান পাথরবাহী এম,বি শুভ সম্রাট বাল্কহেড চালক আব্দুল গফ্ফারকে আটক করে এক লাখ টাকার চাদা দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল। তার কথামতো চাদা না দেয়ায় নির্যাতন এমনকি টাকার বদলে মোবাইল ফোনসহ নৌকায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার এ ঘটনায় প্রতিবাদ করেন বাবুল আহমদ।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বাবুলের উপর।
নানা অপরাধমুলক এসব ঘটনার ধামাচাপা দিতে গত ৭ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল।
গত ৭ জুলাই রাতে বাবুল আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা চালায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে।
এ হামলায় মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরে বাবুলকে রক্ষা করার জন্য তার বড় ও ছোট ভাই এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করেন চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার ৫ দিন পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিট ও চাঁদাদাবির অভিযোগে ওই বাবুলের মামলা নেয় থানা পুলিশ। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল সহ নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৮জুলাই বিকালে চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন পিয়াইন নদী বালু মহাল ইজারাদার কোম্পানীগঞ্জ চাটিরহর আমবাড়ি শেরপুর গ্রামের হাজী তৈমুছ আলীর ছেলে সুজন মিয়া। তিনি বলেন ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল তার কাছে প্রতি মাসে ৩লাখ টাকা চাদা দাবি করছেন। তাকে চাদা না দিলে বালু উত্তোলন করে দেবে না।
এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল জানান,তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। এটা মিথ্যা বানোয়াট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এব্যাপারে তদন্তকারী এস আই শফিকুল ইসলাম শফিক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিটসহ চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়: #ইউপি #চাঁদাবাজি #চেয়ারম্যান #মামলা