শুক্রবার ● ১২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ছাতকে এক জামায়াত নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলা
ছাতকে এক জামায়াত নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলা
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছাতকে জামায়াত নেতা,সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সূফি আলম সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ি কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের অবশেষে চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়,গত ৭ জুলাই রাতে ছাতক বাজার পুরাতন কাস্টম রোডস্থ মোসার্স জে,আলম এন্ড ব্রাদার্সের বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে দাবীকৃত দশ লাখ টাকা চাদা চাদা না দেয়ায় জামায়াত নেতা ও ইউপি চেয়াম্যান সুফি আলম সোহেলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর ও তার ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় তিন লাখ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ হামলায় বাবুল আহমদ বেড়ধর মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে রক্ষা করার জন্য তার বড় বুলবুল ও ছোট ভাই জে আলম এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করেছে চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই উপজেলার ইসলামপুর ইউপির ইউনিয়নের গনেশপুর নোয়াগাও গ্রামের মৃত হাজী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বাবুল আহমদ বাদী হয়ে জামায়াত নেতা,সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ইনলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল,মেম্বার সাজ্জাদ সহ ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। গত ১০ জুলাই রাতে জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেলকে প্রধান করে চাদাবাজির মামলা রেকড করা হয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রকাশ্যে চেলা নদী ফুলফুলি বিলে পাথরবাহী এম,বি শুভ সম্রাট বাল্কহেড চালক আব্দুল গফ্ফারকে আটক করে। তার কাছে এক লাখ টাকার চাদা দাবি করে করে জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল। তার কথামতো চাদা না দেয়ায় নির্যাতন এমনকি টাকার বদলে মোবাইল ফোনসহ নৌকায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনাটি প্রতিবাদ করেন ব্যবসায়ি বাবুল আহমদ। এই বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিষয়টি চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে বাবুলের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে চুরি, মারামারি, ভাংচুর লুটপাট,প্রতারনা,থানায় হামলা ও নাশকতার মামলায় ২০২৩সালে ২৭ নভেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে জামায়াত নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেলন তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এ ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। এটা মিথ্যা বানোয়াট বলে মন্তব্য করেন তিনি। এব্যাপারে তদন্তকারী এস আই শফিকুল ইসলাম শফিক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বৃহস্পতিবার বিকালে এজহারভুক্ত ইব্রাহিম আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন জামায়াত নেতা,সাবেক সুনামগঞ্জ জেলার ছাত্র শিবিরের নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নাশকতা,
চাদাবাজি চুরি,মারামারি ভাংচুর লুটপাট ও থানায় হামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। তবে আলোচিত চাদাবাজি মামলায় একজন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে গত ১২ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
বিষয়: #ইউপি #এক #চাদাবাজি #চেয়ারম্যান #ছাতক #জামায়াত #নেতা #মামলা