সোমবার ● ১৫ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » তাহিরপুরে আজাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
তাহিরপুরে আজাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানি,ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে চাদাঁবাজি করার অভিযোগে উপজেলার ৬টি স্পটে মানববন্ধন,প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট বাজার,তাহিরপুর বাজার, আনোয়ারপুর বাজার,ইসলামপুর চক বাজার, কলাগাও, বড়ছড়া বাজারে পৃথক পৃথক ভাবে তাহিরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝাড়ু হাতে নিয়ে নানা কুকর্ম তুলে ধরে স্লোগানে স্লোগানে প্রতিটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বৈদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার আজাদ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রতিবাদ সমাবেশে বাবলু দাস,আজহারুল ইসলাম,রিয়াদ হাসান,সাকিল মিয়া,জসিম উদ্দিনসহ বক্তারা জানান, সীমান্তের ভারতীয় বুঙ্গার কয়লা,চিনি, মাদক, যাদুকাটা নদীর পাড়কাটা,গাঁজা ইয়াবার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের গডফাদার আজাদ। সে সীমান্তের কালো ব্যাবসায়ীদের দ্বারা একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে কালো ব্যবসার বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন শুরু করে গত ২০১০সাল থেকে। এখনও চলছে আর এসব করে আজাদ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তার ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার, ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী ৯ লাখ টাকার মটরসাইকেল চালায়। এছাড়াও আজাদ নিজেকে সাংবাদিক ও র্যাব,পুলিশ,বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার একান্ত সহযোগীদের নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচাঁর করাসহ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দফায় দফায় গণধৌলাইয়ের শিকার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালান ও শিশু বলৎকারসহ হাবিব সারোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার পুরানো ও মূর্তি ভাংচুর মামলাও হয়েছে। তার অত্যাচারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে,তার এইসব অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি করছি।
উল্লেখ, ২০১৮ সালে ইয়াবা বিক্রি শেষে চরগাঁও লতারকিত্তা নামকস্থানে যাওয়ার পর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ৩৪৫পিছ ইয়াবাসহ হাবিব সারোয়ার আজাদকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় আজাদ মাতাল অবস্থায় এলাকার লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তাকে গণধৌলাই দেয়। খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই সাইদুর ও এএসআই পীযুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াবাসহ মাতাল অবস্থা তাকে গ্রেফতার করে। একই সালে পার্শ্ববর্তী বিন্নাকুলি বাজারে ইয়াবা বিক্রি করার সময় হাবিব সারোয়ার আজাদের ভাতিজা জুবায়ের শাহকে ৫০০পিছ ইয়াবাসহ র্যাব গ্রেফতার জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
বিষয়: #আজাদ #তাহিরপুর #দাবি #নিউজ #বজ্রকণ্ঠ #বিক্ষোভ #মানববন্ধন #মিছিল #শাস্তি