সোমবার ● ২৯ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিকেলে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
বিকেলে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দুষ্কৃতিকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া বনানীর সেতু ভবন ও মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে জোট সঙ্গীরা সেখানে যান। ভবনের ভেতরে গিয়ে নেতারা পুড়ে যাওয়া ভবন দুটির ধ্বংসযজ্ঞ দেখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, একটা দখলদার বাহিনী দেশে যে সব ধ্বংসযজ্ঞ করে, তারই কিছু নমুনা তারা এখানে রেখে গেছেন। আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায়, তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে যেহেতু দেশকে খুবই অল্প সময়ে একটি জায়গায় উপস্থিত করতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সে জন্য তিনি হচ্ছেন তাদের গাত্রদাহ। তাই, আজকে তার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা বার বার বলেছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে তারা জড়িত না উল্লেখ করে আমু বলেন, এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে, তাদের কাঁধে ভর করে দুষ্কৃতকারীরা, স্বাধীনতা বিরোধিতাকারীরা আজকে এটা করছে। দেশবাসীর উচিত সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তাদের প্রতিহত করা।
বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রীয় স্থাপনার ওপর আঘাত করে তারা চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে দেওয়ার। অকার্যকর রাষ্ট্র যদি তারা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে বিদেশ থেকে যে সহযোগিতা তারা পাচ্ছে, তা হয়ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সে কারণেই এই সেতু ভবনের ওপর আক্রমণকে আমাদের জাতীয় জীবনের ওপরও আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা এই সেতু ভবনের ওপর আক্রমণ করবে এটা কল্পনাও করা যায় না উল্লেখ করে মেনন বলেন, তারা বলেছেনও তারা আক্রমণ করেননি। এটা স্পষ্ট যে, জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদেরই খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
বিষয়: #দল #নেতা #প্রধানমন্ত্রী #বিকেল #বৈঠক