সোমবার ● ২৯ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইন্টারনেটে ধীরগতি নিয়ে যা বলছে বিটিআরসি
ইন্টারনেটে ধীরগতি নিয়ে যা বলছে বিটিআরসি
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। দীর্ঘ ১০ দিন পর গতকাল রবিবার চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। তবে শুরু থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
এর আগে চালু হওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। তবে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর থেকে ফের ধীরগতিতে চলছে ব্রডব্যান্ডসেবা।
ধীরগতির ইন্টারনেটের ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে ইন্টারনেট গতি। স্বাভাবিক সময়ে এই সার্ভারগুলো ঠিক হতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও বন্ধ আছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্ম। যদিও ভিপিএন চালু করে অনেক গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সার্ভিস চালুর পর ১০ দিন গুগলের ক্যাশ সার্ভিস, অর্থাৎ গুগল বা গুগল রিলেটেড জিমেইল, ইউটিউব এগুলো বন্ধ ছিল। এসব সার্ভার আপডেট হতে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে চাপ পড়েছে।
তিনি আরো জানান, ফেসবুক, ইউটিউব যেসব সার্ভিস বন্ধ আছে সেগুলো ভিপিএন দিয়ে অনেকে চালাচ্ছেন। যার কারণেও আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে প্রচুর চাপ পড়েছে। এ কারণে মোবাইল ইন্টারনেট অনেক জায়গায় স্লো পাচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন থেকে সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। গতকাল রবিবার চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। এছাড়া ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি গুগল ক্যাশ সার্ভার ক্লিয়ার করায় ধীরে ধীরে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক গতি ফেরে।
বিষয়: #প্রধানমন্ত্রী