রবিবার ● ৪ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের ৬ জনকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের ৬ জনকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা সমর্থক বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নেতাকর্মীরা।
রোববার দুপুরের দিকে শহরের মাধবদী পৌরসভা সংলগ্ন বড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন ভুঁইয়া, সদর উপজেলার চরদীঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগকর্মী জলিল, সজীব ও মোক্তার।
উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারের খালাত ভাই আল আমিন বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার আপন খালাত ভাই দেলোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আরও কয়েকজনকে ওরা হত্যা করেছে।
সদর উপজেলা ও মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন নেতা বিকেলে বলেছেন, লাশগুলো মাধবদী শহরের বড় মসজিদের অজুঘরের পাশের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৌরসভার সামনের এসপি ইনস্টিটিউশনের অবস্থান নিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মাধবদী শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে থাকেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়।
ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা প্রথমে সরে যায়। কিন্তু পরে তারা আরও লোক নিয়ে এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের অন্যরা সরে যেতে পারলেও ছয়জন আটকা পড়েন। তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা শুনেছি মাধবদী বাজার মসজিদের সামনে ছয়জনের মরদেহ রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সুরতহাল করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়: #প্রধানমন্ত্রী