বৃহস্পতিবার ● ১৫ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের অপসারন দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা
গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের অপসারন দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
ছাতকে বৈষম্যবিরোধী সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদেও উদ্দ্যোগে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকা বিক্ষোভ মিছিল,কলেজ গেইট প্রাঙ্গনে এক বিশাল মানবন্ধন ও অপসারন দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। ৫দিনের মধ্যে কলেজের যাবতীয় হিসাব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা না দিলে কলেজ বন্ধ করে দেয়ার হুসিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।শিক্ষ্ার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে দুনীবিাজ স্বৈরাচার,খুনী হাসিনার সহযোগি অবৈধ দুনীতিবাজ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরেই সিলেটের জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিকের অপসারন দাবিতে কলেজ গেইটের সামনে ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলল শেষে সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। এ সমাবেশে শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য সামাজিক শ্রেণী, জনতা এ আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন জ্ঞাপন করেছে।দুনীতিবাজ গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে বহাল রয়েছেন সিলেটের জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিক। তার লেজুড়বৃত্তিকারী ছাড়া বাকি সব নাগরিকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছিল এ আন্দোলনে।ছাত্র জনতা আন্দোলন এসময় ছাত্র জনতার আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন,মাহবুবুর রহমান রাহি,তাহমিদ আলম শফি,আব্দুর রহমান ফাহিম,তানবির টৌদুরী,সুয়েব আহমদ,রিমন,পারভেজ আহমদ,বাপ্পীআহমদ,মাহফুজুর রহমান, সুলতান,আল হাসান নাহিদ,খালেদ আহমদ,জয়নাল,অলিদ আহমদ,নোমান,ফয়ছল আহমদ,জামিল,মনসুর,নাইম,সাদ মিয়া,রুমেনা বেগম.আসমা আক্তার ও বিউট আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন দুনীতিবাজ স্বৈরাচার খুনী হাসিনার সহযোগি অবৈধ অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিককে ৫দিনের মধ্যে কলেজের যাবতীয় হিসাব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা না দিলে কলেজ বন্ধ করে দেয়ার হুসিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।শিক্ষ্ার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দালাল ক্ষমতার দাপট দেখির্য়ে ১৩ বছর ধরেই ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে বহাল রয়েছেন সিলেটের জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, ভুয়া ভাউচার, ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ। এছাড়া করা প্রায় দুই হাজার ২০০ সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের নামে কারো কাছ থেকে পাঁচ হাজার, দুই হাজার ও এক হাজার করে প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলে অধ্যক্ষে বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ দুনীীতবাজ অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে অপসারণের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বৃহত্তর গোবিন্দগঞ্জবাসী।এ সময় তাকে সাবির্ক শেল্টার দাতা ছিলেন,সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক।
অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক ও সাবেক এমপি মানিকের নির্দেশে কলেজছাত্র রেজাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করায় এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর কলেজের গভর্নিংবডি ও এলাকাবাসীকে তোয়াক্কা না করে পুলিশ ডেকে এনে নির্যাতিত ছাত্র রেজাকে পুলিশে সোপর্দ করেন অধ্যক্ষ। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেই সুজাত আলী রফিক দুই মাসের ছুটি নিয়ে লন্ডনে চলে যান। এরপর সেখানে থেকেই দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয়। গত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর চাকরিতে তার প্রায় সাড়ে তিন বছরের অনুপস্থিতিকে ‘অসাধারণ’ ছুটি দেখিয়ে তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার আবেদন মঞ্জুরও করেছিল। সাড়ে তিন বছর ‘অসাধারণ’ ছুটি কাটিয়ে অবৈধভাবে চাকরি ফিরে পেয়েছেন সুজাত আলী রফিক। কেবল চাকরিই নয়, এখন তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে বহাল রয়েছেন। তার চাকরি ফিরে পাওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও কলেজের সাবেক ছাত্র আশিকুর রহমান আশিক। হাইকোর্টের রায় সুজাত আলী রফিকের বিপক্ষে চলে গেলে তিনি সুপ্রিমকোর্টে লিভ টু আপিল দায়ের করেছিল। তার দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করেন আদালত। এরপর রিভিউয়ের আবেদনটিও খারিজ করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায় না মেনেই চাকরি এবং অধ্যক্ষ পদে বহাল তবিয়তে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরেই তিনি রয়েছেন। কলেজের চাকরির পাশাপাশি তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার রাজনৈতিক এ পদের প্রভাবে কলেজের পদও বহাল রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আদালতের রায়ও তাকে সরাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। গত ১৫ আগষ্ট গোবিন্দগঞ্জ কলেজ বন্ধ ছিল,ইউএনও নিদেশে কলেজ খোলা হয়েছে বলে ছাত্র জনতা অভিযোগ করেন। পরে কলেজ ভাইন্স পিন্সিপাল মহিউদ্দিন ছাত্র জনতার দাবি গুলো গ্রহন কএদিকে ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রবাস থেকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে অধ্যক্ষ সাবেক এমপি মানিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। এ ব্যাপারে সুজাত আলী রফিকের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়: #অধ্যক্ষ #অপসারন #অবৈধভাবে #কলেজ #গোবিন্দগঞ্জ #ছাত্র #জনতা #দাবি #বিরোধী #বৈষম্য