শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

Bojrokontho
শনিবার ● ৩১ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » শিক্ষা » শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, ট্রমায় ভুগছেন অনেকেই
প্রথম পাতা » শিক্ষা » শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, ট্রমায় ভুগছেন অনেকেই
১৪৪ বার পঠিত
শনিবার ● ৩১ আগস্ট ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, ট্রমায় ভুগছেন অনেকেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরের পদত্যাগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে
আমি জানতাম যে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। এটাও জানতাম যে শিক্ষার্থীরা আমার অফিস ঘেরাও করবে এবং তারা আমাকে খোঁজাখুঁজি করছে। ফলে আমি পদত্যাগপত্র সাইন করে অফিসে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু ওরা এতে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা চাচ্ছিলো আমি যেন তাদের সামনে গিয়ে পদত্যাগ করি।

কথাগুলো বলছিলেন একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি নিজ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে এবং ‘আবারও হয়রানির ভয়ে’ তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
ঐ শিক্ষক জানাচ্ছেন, ছাত্রদের হাতে ‘অপমানিত হওয়া’ ঠেকাতে তিনি বিভাগে যাওয়ার সাহস করেননি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল।

আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তারা ভিডিও করবে এবং সেখানে গেলে যে কোনো একটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি যেতে রাজি হইনি, বলছিলেন সে শিক্ষক।

কিন্তু বিভাগে না গেলেও ঐ শিক্ষক খোঁজ পান যে ছাত্ররা ঠিকানা সংগ্রহ করে তার বাসভবনের দিকে আসছে।

এটা ছিলো ভীতিকর। শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আমার বাসার দিকে আসতে শুরু করে। আমি এবং আমার পরিবার খুবই ভয় পেয়ে যাই। পুরো ভবনেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আমি তখন পরিবারসহ আমার বাসা ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যেতে বাধ্য হই।

নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ শিক্ষক জানাচ্ছেন, তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী নীল দলের সদস্য এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেননি এসব অভিযোগেই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।

আমি আমার পদত্যাগ মেনে নিয়েছি। তারা আমার অফিস পর্যন্ত গিয়েছে এতে সমস্যা নাই। কিন্তু আমার বাসায় কেন আসবে? আমার পরিবার কেন টার্গেট হবে?- প্রশ্ন করেন সে শিক্ষক।

বাংলাদেশে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন।

এরমধ্যেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবর আসতে থাকে যে, কোনও কোনও শিক্ষক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষকদের ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করা, অপমান-অপদস্থ করা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেবার অভিযোগও আছে।

শিক্ষকদের মধ্যে কারা সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন এবং আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এমন অভিযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি এবং চাপপ্রয়োগ করা হচ্ছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিস্থিতি আসলে কেমন? আর ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কই বা এখন কোন অবস্থায়?

ভয়ে আছেন অনেক শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। গত ২১শে আগস্ট নিজ বিভাগে কাজ শেষে জানতে পারেন নিচে শিক্ষার্থীরা তার জন্য অপেক্ষা করছেন।

পরে বিভাগে এসে শিক্ষার্থীরা নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকেন চন্দ্রনাথ পোদ্দারকে।

ছাত্র আন্দোলনে তিনি কেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ভূমিকা রাখেননি? কেন তিনি নীল দলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন?এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। পরে অন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে তাকে জানানো হয় যে তার ক্লাস বয়কট করা হবে।

চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, আমি শুনেছি যে তারা বলেছে, তারা আমার ক্লাস করবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমাকে স্থায়ীভাবে অবসর নিতে হবে এমন কথাও আমি শুনেছি।

চন্দ্রনাথ পোদ্দার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক। বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনে চন্দ্রনাথ পোদ্দার অংশ নেননি, এই অভিযোগে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি ছেড়ে দিতে চাপ দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের হই-হুল্লোড় এবং নানামুখী প্রশ্নে বিপর্যস্ত এই শিক্ষক এখন আর বিভাগে যাচ্ছেন না।

চন্দ্রনাথ পোদ্দার জানান, এই ঘটনার পর তার পরিবারের মধ্যেও ভয় ঢুকে গেছে।

সবকিছু মিলিয়ে আমরা অনেক শিক্ষকই এখন একটা ভালনারেবল সিচুয়েশনে আছি। এগুলো জানতে পেরে পরিবার উদ্বিগ্ন হয়েছে। আমার একটা মেয়ে আছে। সে কান্নাকাটি করেছে। আমার স্ত্রী কখনও চিন্তাও করেনি যে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আমি এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হবো।

ফেসবুকে কেউ কেউ স্ক্রিনশট ছড়িয়েছে যে আমি টকশোতে গিয়েছি। কিন্তু টকশোতে তো আন্দোলনের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। আমি আন্দোলনের পক্ষে, কোটা সংস্কারের পক্ষে। তারা টকশোটা দেখেনি, কিছু পড়েওনি। সে কারণে আমি নিজেই তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে চেয়েছি।

চন্দ্রনাথ পোদ্দার অবশ্য মনে করেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ‘যৌক্তিক’। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কোনও শিক্ষককে যে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে সেটা সম্প্রতি ব্যাপকভাবে আলাচনায় আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিরের পদত্যাগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর।

ঐ ভিডিওটিতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে তাদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগের কাগজপত্রে সই করছেন এই শিক্ষক।

ঘটনার পর থেকেই ড. আব্দুল বাছির অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে। যোগাযোগ করা হলেও আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষকের অপমান-অপদস্থ হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।

যদিও এসব ঘটনার কোন ভিডিও বা ছবি নেই।

গত সপ্তাহে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হেনস্থার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন এমন একাধিক অধ্যাপক জানিয়েছেন, তার বিভাগের জুনিয়র এক শিক্ষককে ‘হাতজোড় করে মাফ চাইতে বাধ্য করেছে’ শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া তাৎক্ষণিক বিভাগীয় একটি দায়িত্ব থেকেও পদত্যাগ করিয়েছে, করেছে মানসিক নির্যাতন।

কিন্তু ‘নির্যাতন ও হেনস্থার শিকার’ ঐ শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এরকম ঘটনার কথা এড়িয়ে যান তিনি। জানান, শিক্ষার্থীরা তাকে কোনও চাপ দেয়নি বরং তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

‘আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম’

অপমান-অপদস্থের শিকার হয়েছেন, অন্য শিক্ষকদের কাছে নিজেই ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের হামলার ভয়ে ক্যাম্পাসে থাকছেন না এমন অন্তত তিনজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগযোগ করলে তারা কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

শেষ পর্যন্ত নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক কথা বলেন। জানান, অপমানের কারণে আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন তিনি।

সরকার পতনের পর যখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেলো, তখন একদিন আমি ডিপার্টমেন্টে যাই। সেদিন আমাকে কিছু শিক্ষার্থী আমার অফিসে প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলে। আমারই সহকর্মী একজন পুরুষ শিক্ষক প্ল্যান করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছিলো।

ওরা নানারকম গালিগালাজ করছিলো। আমি সরকারেরর সমর্থক এমন কথা বলছিলো। একপর্যায়ে আমার সেই পুরুষ সহকর্মী আমাকে মারারও চেষ্টা করে। পরিস্থিতি এতোটা অসম্মানজনক ছিলো যে, আমি পরে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম, বলছিলেন সে শিক্ষক।

ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে ফাটল?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, মূলত: আওয়ামী পন্থী শিক্ষক এবং যারা সরাসরি আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেননি, অনেক ক্ষেত্রে তারাই হেনস্থার মুখে পড়েছেন।

শিক্ষকদের নামে ব্যানার বানিয়ে, তালিকা করে, ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যেমন টার্গেট করা হয়েছে, তেমনি অনেককে বাসায় গিয়েও হুমকি দেয়া কিংবা খোঁজ করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে অবস্থা তাতে করে ‘ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ধ্বংস হওয়ার’ মুখোমুখি বলেই মত রাজনীতি বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীনের।

তিনি বলেন শিক্ষকদের কেউ কেউ এখন ভয়ে, আতংকের মধ্যে আছেন।

বিভিন্ন বিভাগে লিস্ট তৈরি হয়েছে। অনেক শিক্ষক এখন ক্যাম্পাসে বাসায় থাকছেন না। বিশেষ করে যখন থেকে ছাত্ররা মব তৈরি করে বাসায় বাসায় গিয়ে শিক্ষকদের খুঁজতে শুরু করলো। তখন শিক্ষকরা অনিরাপদ বোধ করতে শুরু করলো। তারা এখন ভাবছে আজকে অমুক শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছে, কালকে হয়তো আমার বাসায় আসবে। রাস্তায় হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হবে, বলছিলেন জোবাইদা নাসরীন।

সবাই একটা ভয়ের মধ্যে আছে যে কোন কথায় কী রিঅ্যাকশন হবে। স্টুডেন্টরা আবার তেড়ে আসবে না তো?

জোবাইদা নাসরীন মনে করছেন, শিক্ষকদের অপমান-অপদস্থ হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন পক্ষ জড়িয়ে পড়ছে।

শুধুমাত্র যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে এসব হচ্ছে তা নয়। এখানে নানা স্বার্থে নানা গ্রুপ এর সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। এখানে শিক্ষক রাজনীতিরও ভূমিকা আছে। কিন্তু এতে করে যা হচ্ছে সেটা হলো ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মধ্যে একটা বিশাল ফাটল তৈরি হয়েছে।

তার মতে, ভয়-দ্বিধা কাটিয়ে শিক্ষকরা কীভাবে ক্লাসে ফিরবেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন। আবার শিক্ষার্থীরাও কীভাবে তাদের গ্রহণ করবেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

কিন্তু এমন অবস্থা কেন তৈরি হলো? এর পেছনে শিক্ষকদেরও দায় দেখছেন জোবাইদা নাসরীন।

অনেকে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়ন হলে সেটা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেননি। তবে শিক্ষার্থীরা যেটা করতে পারতো যে, কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকলে অপেক্ষা করতে পারতো। প্রশাসনিক নিয়োগগুলো হয়ে গেলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি তুলে ধরতে পারতো,- বলেন জোবাইদা নাসরীন।

বাংলাদেশে বর্তমানে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই নতুন ভিসি নিয়োগ না পাওয়ায় সেগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রমে এক ধরণের স্থবিরতা আছে।

প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভূক্তভোগী শিক্ষকরা কার কাছে যাবেন, কীভাবে নিরাপদ থাকবেন সেটাও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কোন কোন অংশের ভূমিকা নিয়েও আছে প্রশ্ন।

যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মুজমদার বলছেন, তাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা আছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।

আমরা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কোথাও কোনও ঘেরাও করি নাই এসব বিষয়ে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবসময়ই বলেছি যে, শিক্ষার্থীরা যেন এধরণের কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত না হয়।

তবে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার আছে -আমরা এটাও মনে করি। কিন্তু হেনস্থা করার মতো ঘটনা এসব কাম্য নয়, বলেন সমন্বয়ক আবু বাকের মুজমদার।

তিনি দাবি করেন, শুরুর দিকে যেসব ঘটনা ঘটছিলো এখন সেগুলো কমেছে। এমনকি যারা এসব করছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাউকে হেনন্থা না করার বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে এর পরও এমন ঘটনা থেমে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেই দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ।

এমনকি ভিসি ও অন্যান্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যকারিতাও তৈরি করতে পারেনি সরকার।

যদিও এর মধ্যেই মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর।

মনে করা হচ্ছে, এভাবে পর্যায়ক্রমে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

কিন্তু এর মধ্যেই ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে যে ‘ভীতি এবং আস্থাহীনতা’ তৈরি হয়েছে সেটা সহজে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা



বিষয়: #  #


শিক্ষা এর আরও খবর

টিলাগাও এ.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকদেরকে সংবর্ধনা টিলাগাও এ.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকদেরকে সংবর্ধনা
রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মৌলভীবাজারে ৪র্থ বারের মত থাষ্ট ফর নলেজের মেধা যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন মৌলভীবাজারে ৪র্থ বারের মত থাষ্ট ফর নলেজের মেধা যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন
দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
দৌলতপুর শাপলা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত দৌলতপুর শাপলা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আজই মানবন্ধন অনুষ্টিত হবে ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ কলেজের অ্যাডহক কমিটিতে আওয়ামীলীগের নেতার নাম না রাখায় অভিযোগ আজই মানবন্ধন অনুষ্টিত হবে ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ কলেজের অ্যাডহক কমিটিতে আওয়ামীলীগের নেতার নাম না রাখায় অভিযোগ
ছাত‌কে গোবিন্দগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা অনু‌ষ্টিত ছাত‌কে গোবিন্দগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা অনু‌ষ্টিত
রাণীনগরে অনিয়মে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাণীনগরে অনিয়মে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

আর্কাইভ

--- --- --- --- --- আমি কয়েকটি লাইভ স্ট্রিমিং টক শো করব এবং আপনাদের সবাইকে আমার “কারেন্ট” অ্যাফেয়ার্সে অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই! আপনি কি আমার টক শোতে থাকতে আগ্রহী হবেন? --- বাঙ্গালী সাজে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিদেশিনী! ???? --- ফেনী ও হবিগঞ্জে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড। যোগাযোগ করুন ::- ফেনী:- ০১৭৬৯৪৪২৯৯৯,০১৭৬৯৪৪২৫৯১ , হবিগঞ্জ: - ০১৭৬৯৪৪১৯৯৯,০১৭৬৯৪৪১৩৩৩ --- আপনাদের লেখা আমাদের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ বা প্রচার করতে চান ? ই-মেইল ঠিকানা:: [email protected] ---

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘স্যালভেজ কর্মশালা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ৩ রিসোর্টের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে ভূমিকা রাখল কোস্টগার্ড
নৌবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেন্টমার্টিনে ৩টি রিসোর্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে
অসহায় মানুষদের মাঝে ছাত‌কে গো‌বিন্দগঞ্জ আল আরাফাহ ব‌্যাংক শাখার উদ্দ্যো‌গে তিন শতা‌ধিক কম্বল বিতরন
গরীব দুঃস্থ শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিলো কোস্টগার্ড
রাণীনগর থানাপুলিশের বিশেষ অভিযানে তিনজন গ্রেফতার মাদক উদ্ধার
রাণীনগরে চাঁদাবাজী মামলায় ইউনিয়ন কৃষকদলের সম্পাদক গ্রেফতার
মাধবপুরে অভিনব কায়দায় মাদক পাচারের সময়
ছাতকে এসএসসির ফিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন
ছাতকে কেলেংকারি দুনীতির অভিযোগের সহকারি প্রকৌশলী বদলী
দৌলতপুর একতা ব্লাড ডোনার সোসাইটির উদ্যোগে তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
“শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেমিটেন্স যোদ্ধা সাইদ উদ্দিনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে,
জেঁকে বসেছে শীত, ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ
দেশে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত, জেনে নিন লক্ষণগুলো
অভিযোগ ওঠার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে টিউলিপ সিদ্দিক
লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল: আগুনে ভস্মীভূত হলিউড হিলস
ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি বর্ষণকারী একরার চেয়ারম্যান এখনো অধরা
বাষিক পরীক্ষায় দুটি ফলাফল প্রকাশ ছাতকে এসএসসি পরীক্ষার ফিস নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
মোংলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংসসহ ৬ চোরাচালানী আটক
রাণীনগরে অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে রাখালের লাঠির আঘাতে প্রান গেলো শিশু তরিকুলের।।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাত‌কে এক মাদক কারবা‌রি কে ৬ মা‌সে কারাদণ্ড,কারাগা‌রে
মাধবপুরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারী সহ আহত-২১
রাণীনগরে দুর্বৃত্তের আগুনে একরাতে পড়ল ৬টি খড়ের পালা \ গরু নিয়ে বিপাকে কৃষক
নৌবাহিনী পরিচালিত যৌথ অভিযানে খুলনায় ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
ছাতক-সিলেট রেললাইন সংস্কার ক‌রে রেল চালু করা হ‌বে মহা পরিচালক আফজাল হোসেন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
দৌলতপুরের আল্লারদর্গায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা
শীর্তাতদের মাঝে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কম্বল বিতরণ
ছাতকে আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।