রবিবার ● ২ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » লাইফস্টাইল » অনিয়মিত জীবনযাপনে অল্প বয়সে বাড়ছে হৃদরোগ
অনিয়মিত জীবনযাপনে অল্প বয়সে বাড়ছে হৃদরোগ
হার্ট অ্যাটাক, যাকে ডাক্তারি ভাষায় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়, একটি গুরুতর হার্টের অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত প্রবাহের আংশিক বাধার কারণে বুকে ব্যথা, যাকে সাধারণত এনজাইনা বলা হয়, এটি আরও গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের একটি সতর্কতা সংকেত, যদি চিকিত্সা না করা হয়। রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত প্রবাহের সম্পূর্ণ বাধা মৃত্যু সহ গুরুতর ফলাফল হতে পারে। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে অল্পবয়সীদের মধ্যেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। গবেষণাও তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে, ২০-৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে মানসিক অবসাদ বা দুশ্চিন্তা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, অনিদ্রা বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হৃদযন্ত্র, তার সঙ্গে যুক্ত শিরা-উপশিরা ও ধমনীর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষের উপর করা হয়েছে এক সমীক্ষা।
তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মানসিকভাবে সুস্থদের তুলনায় মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্তদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫৮ শতাংশ বেশি। যাদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন ৪২ শতাংশ।
গবেষণার লেখক ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. ইউ-কেউন চোই এর মতে, কমবয়সীদের মধ্যে এখন মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানসিক সমস্যার সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের যোগ আছে।
এই গবেষকের মতে, ‘মানসিক রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগই সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বে ভুগছেন। আর একাকিত্ব স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।’
‘তরুণদের মধ্যে সামাজিক সংযোগ উন্নত করা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব’, বলে জানান ডা. ইউ-কেউন চোই।
বিষয়: #হৃদরোগ