রবিবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ছাতকে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাৎ- অভিযোগ
ছাতকে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাৎ- অভিযোগ
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাও ইউনিয়নের আনুজানি জনকল্যান উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আতœসাতের অভিযোগের তদন্ত শেষ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি, শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য,বিদ্যালয়ের অর্থ আতœসাত,প্রতারনাসহ নানা কেলেংকারি অভিযোগের ঘটনায় ৭ সদস্য তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বার উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকতা শাহ শফিউর রহমানের নেতুত্বে ৭ সদস্য একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে পৌছে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র পষালোচনা,নানা দুনীতি ও ঘুস কেলেংকারি, কোটি টাকা আতœসাতের ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
গত ২৯ আগষ্ট প্রধান শিক্ষকের পদত্যগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন,সুনামগঞ্জে জেল্ াপ্রশাসক ও উপজেলা নিবাহী কর্মকতার বরাবরে ছাত্র- জনতা সাড়ে ৩ শতাধিক স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসব অভিযোগের ঘটনায় এলাকাবাসীর ছাত্র-জনতার মধ্যে টান টান উত্তেজনাা দেখা দেয়। এ প্রধন শিক্ষকের পদত্যাগের আন্দোলনের পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলা প্রশাসন, সেনা বাহিনী,এলাকার গনমান্য ব্যক্তিরা যৌথ উদ্দ্যোগে ৭ সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়,২০২৩-২৪ সালে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাবে ব্যাপক অনিয়ম, বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক ,সহকারি শিক্ষক ,নৈশ্য প্রহরী ,দপ্তরি ও আয়াসহ ৫টি পদে নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সালিক মিয়া, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা পুলিন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা ঘুস নেয়ার অভিযোগ করে। এছাড়া কোচিং বানিজ্য, অতিরিক্ত সেশন ফি,মাসিক বেতন,পরীক্ষার ফি এবং এস এস সি পরীক্ষাথীরা কাছ থেকে জামানত বাবত ১৫ হাজার করে হাতিয়ে নেন। এসব টাকা ফেরত যোগ্য খাকলে এখনো তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। বিদ্যালয় নিজের পছন্দে লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে দীর্য ১৫ বছরের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ে ফান্ডের ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও দুনীতিবাজ, সাবেক এমপির মাণিকের কনিষ্টজন বলে অভিযোগ উঠে। সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান ছালিক তার ভাতিজা মৃত আছকির আলীর পুত্র আলী হোসেনকে দপ্তরি পদে ৫ লাখ টাকার নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক তাদেরকে নিয়োগ দেন। এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক হিসাবে যোগদানের পর এ বিদ্যালয়কে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক দূর্নীতি,লুটপাট,কোটি টাকা আতœসাতের ঘটনায় সাধারন শিক্ষার্থীরা ও জনতা প্রতিবাদ করার কারনে বিদ্যালয়ে না আতœগোপনে চলে যান। এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে স্বজনপ্রীতি এবং টাকা পয়সা ঘুষ নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। এদিকে সিলেটের গাছবাড়ি মডেল একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুল হক। সেখানে এ বিদ্যালয়ের ১৫ লাখ টাকা আতœগোপনে পালিয়ে আসেন ছাতকের। এখানে ্এসে ও তার দুনীতি বন্ধ করা হয়নি। তার দেশের বাড়ি হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ। তবে অনেক সময় সাধারন শিক্ষার্থীরা প্রতিকার চেয়ে কোনো সুরাহা তারা পাননি। কারণ তার দলীয় একটি দালাল বাহিনী দিয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি দেয়া হতো বলে অভিযোগও রয়েছে। তদস্ত কমিটির সদস্যরা আব্দুল হান্নান,আব্দুল হামিদ ও মাসুম মেম্বার জানান, গত ১২ সেেেপ্টম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যায় পসন্ত এক শত ৫ জনের শিক্ষাথী ও অভিবাহকদের লিখিত জŸানবন্ধি লিপিবন্ধ করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা প্রথান শিক্ষক আব্দুল হক ও সাবেক সভাপতি সালিক মিয়ার বিরুদ্ধে ৫টি পদে অর্ধকোটি টাকা ঘুস কেলেংকারি,বিদ্যালয়ে ফান্ডের ৩৫ লাখ টাকা ও শিক্ষাথীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে দশ লাখ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তদন্তের সত্যতা মিলছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ সদস্য একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে নিশ্চিত করেন তিনি।
বিষয়: #ছাতক