সোমবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » অপসারণের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ
অপসারণের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী রাহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা জহুর আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করে ৫০ লাখ টার্কা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং তার অপসারণের দাবীতে দিঘলী গ্রামের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সকালে মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্বে দিঘলী বেরাজপুর গ্রামের আবুল মিয়া ও বদর উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন, রুপ মিয়া, এখলাছ মিয়া মেম্বার, মখলিছ মিয়া, সাবেক সভাপতি ইমাম উদ্দিন, দিল হোসেন মেম্বার, সিরাজ উদ্দিন মেম্বার, আজাদ মিয়া, সাবেক সদস্য আবদুল হান্নান আঙ্গুর,ও সাবেক পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিনসহ দিঘলী বেরাজপুর, ব্রাক্ষনগাঁও, চাকলপাড়া, মাধবপুর, রামপুর গ্রামের দেড় শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে মাদরাসার সুপার মাওলানা জহুর আলী কর্তৃক ১১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ৫০লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, মাওলানা আবদুল হাফিজ, বিলকিছ খাতুন, মাওলানা আবুল হাসান, শাহ জাহান, ফাহিমা খাতুন, আওছাফুর রহমান, মঞ্জুরুল হক, আলমগীর, আতিকা বেগম, নাজিরা আক্তার রোমানা ও রফি উদ্দিন। এদের মধ্যে মাস্টার মঞ্জুরুল হক দেড় লাখ ও আলমগীর হোসেন’র ৩ লাখ ৬০হাজার, এছাড়া চাকুরী দেওয়ার নামে সাতক্ষিরার শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ ৮০হাজার টাকা সুপার কর্তৃক নেওয়ার কথাটি গ্রামবাসীর সভায় সত্যতা স্বীকার করেছেন। গ্রামবাসীরা দূর্নীতিবাজ সুপারের অপসারণের দাবী জানিয়ে তারা বলেন নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও ঘোষনা দেয় এলাকাবাসী।
বিষয়: #অপসারণ