মঙ্গলবার ● ১ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য ডাইরি » ডেভিল_বর_যখন_মাফিয়া_কিং_লিডার
ডেভিল_বর_যখন_মাফিয়া_কিং_লিডার
লেখিকা_সাইমা_ইসলাম_হ্যাপি
উ: ঠা’স ঠা’স করে থা’প্প’ড়ে শব্দ পেয়ে আবিদা পিছনে ঘুড়ে তাকিয়ে দেখে। আদিত্য রহমান একটা ছেলেকে মারছে! আদিবা কিছু বুঝে উঠার আগে আদিত্য আদিবার গালে দুইটা থা’প্প’ড় মে’রে দিলো! আদিবা নিজেকে সামলাতে না পড়ে মাটির উপরে পড়ে গেল! আদিত্য রেগে চোখ দুইটা লাল হয়ে গেছে। আদিত্য রাগান্ত সুরে বললো?
আদিত্য: বেয়াদব মেয়ে নিজের শরীল দেখাতে খুব ভালো লাগছে তাই না। মানুষকে কি বুঝাতে চাচ্ছিস নিজের শরীল দেখিয়ে। তুই যে সুন্দর সেইটা প্রমাণ দেখাচ্ছিস। তুই আসলে ফর্সা বাট তুই সুন্দর না। তুই হইলি কু*ৎসিত মহিলা বুঝলি। তোকে যদি আর কোনোদিন এই ভার্সিটিতে পেট বের করে আসতে দেখেছি। তোর খবর আছে বলে দিলাম!
উ: আদিবা আদিত্য কথা গুলো শুনে নিজের চোখের পানি গুলো ধরে রাখতে পারে না।আদিবার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে লাগলো। আদিবা ভাবতেও পারে নাই আজ প্রথম কলেজে এসেছে। এভাবে অপদস্ত হতে হবে। আদিবা আদিত্যকে কিছু বলার আগে আদিত্য রেগে ওই খান থেকে চলে যায়। আদিবার বেস্ট ফ্রেন্ড রাইসা আদিবার হাত ধরে তুলে বললো?
রাইসা: আদিবা উঠেক কান্না করিস না”
আদিবা: ওই লোকটা আমাকে এতো বাজে ভাবে কথা বললো। আর পুরো ক্যাম্পাসে সামনে আমাকে অপমান করলো আর তুই বলোস কান্না করবো না। আর আমি নাকি সবার সামনে প্রমান করতে এসেছি। আমি নাকি সুন্দর তুই বল আমি কি ওই রকম মেয়ে। আমি ওই ছেলেটাকে ছাড়বো না আমাকে অপমান করা। আমি এই প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো!
রাইসা; ওকে নিস এখন কান্না বন্ধ করে চল ক্লাস রুমে যায়!
আদিবা : না আমি আজ ক্লাস করবো না! আমি এখনই বাসায় যাবো! আমি ভাইয়াকে বলে ওকে যদি মার না খাওয়ায় আমার নাম ও আদিবা না!
উ: আদিবা কথা গুলো বলে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে। ডাইভারকে গাড়ি ছাড়তে বলে! আর সারা রাস্তায় কান্না করতে করতে চলে যায়। আর এইদিকে আদিত্য রেগে ক্লাস রুমে বসে আছে। রাকিব আদিত্যর দিকে তাকিয়ে বললো?
রাকিব; এতো রেগে যাচ্ছিস কেন? মেয়েটাকে ভালো করে বুঝালে পারতি। হুট করে এভাবে মারাটাহ কি ঠিক হইছে বল?
আদিত্য: যাহ করছি একদম ঠিক হইছ! ফাজিল মেয়ে পেট দেখিয়ে ড্রেস পড়ে আসা। আর ছেলেরা কিছু বলে তখন ছেলেদের দোষ তাই না। আমি যাহ করছি ভালো করছি। শুধু ছেলেগুলো মার খাবে কেন? ওর খাওয়া উচিত।
রাকিব: ওকে ঠিক আছে বুঝলাম এখন রাগ কম কর! ক্লাসে মনোযোগ দে স্যার আসছে।
আদিত্য: হুম!
উ:আদিত্য ক্লাসে মনোযোগ দিতে লাগলো! আদিত্য বার বার কেন জানি আদিবার কান্না মাখা মুখটাহ চোখের সামনে ভেসে আসতে লাগলো! আদিত্য বার বার মাথা ঝাকিয়ে ভাবতে লাগলো?
আদিত্য: দূর বার বার কেন যে মেয়েটার মুখটা ভেসে আসছে। না আদিত্য ওইদিকে মনোযোগ না দিয়ে পড়ার দিকে মনোযোগ দে।
উ:আদিত্য আবার মনোযোগ দিতে গিয়েও বার বার ওর কথা মনে পড়ছে। আদিত্য অনেক কষ্টে ক্লাস টা করে বের হয়ে গেলো.! আদিবা বাসায় গিয়ে ভাংচুর করতে লাগলো! আদিবার ভাইরা বুঝতে পারছে না কেন এমন করছে? আদিবার ভাই ওকে শক্ত করে ধরে বললো?
আদিবার বড় ভাই: বোন আমার কি হইছে? কে কি বলছে আমাদের বল। আমি ওকে দেখে নিবো বল একবার আমাকে?
আদিবা: কিছু হই নাই তোমরা চলে যাও। আমি আমার প্রতিশোধ নিবো! ওকে আমি ছাড়বো না তোমরা প্লিজ আমাকে একা থাকতে দেও।
উ: আদিবা চিৎ”কার করে বলতে আদিবার ভাইরা আর কিছু বললো না।সবাই বের হয়ে গেলো আদিবা রুমে বসে একা ভাবতে লাগলো?
আদিবা:মিষ্টার আমি তোমাকে ছাড়বো না।আমাকে সবার সামনে অপমান করা। আমি তোমাকে এমন ভাবে ফাঁসাবো.! আমি যেভাবে অপমান হয়েছি এ-র থেকে দ্বিগুণ অপমান আমি তোমাকে করাবো!
উ: আদিবা অনেকক্ষন ভেবে ওর ভাইয়াদের ডাক দেয়! ওরা ভাইয়ারা আদিবার ডাক শুনে দৌড়ে রুমে ভিতরে আছে!
আদিবার বড় ভাই: বোন কি হইছে?
আদিবা: ভাইয়া আমি বিয়ে করতে চাই! আমার একটা ছেলেকে অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। তোমরা যদি আমাকে ওকে নিয়ে এসেছে না৷ দেও তাহলে আমি আ”ত্নহ*ত্যা করবো!
আদিবার বড় ভাই: না বোন এইসব কি বলিস। তুই আমাদের চোখের পানি তুই কিছু চাই ছোস। সেইটা আমরা দেয় নাই সেইটা কখনো হয়েছে! তুই ছেলেটার ঠিকানা দে এখনই আমরা যাবো!
আদিবা: আমি ছেলেটার ঠিকানা জানি না!
আদিবার বড় ভাই: তাহলে ছেলেটার ছবি দে আর ওর নাম কি সেইটা বল?
আদিবা: আমি কিছুই জানি না! ওর নাম ও জানি না ওর ছবি ও নাই আমার কাছে!
আদিবার বড় ভাই:তাহলে কিভাবে খুজে বের করবো!
আদিবা: আচ্ছা তোমরা যাও আমি ওর সব কিছু বের করে তোমাদের দিবো!
আদিবার বড় ভাই: আচ্ছা,
উ:আদিবার বড় ভাই কিছুক্ষন ভাবতে লাগলো! তার পর কিছু না বলে ওরা ৩ভাই বের হয়ে গেলো আদিবার রুম থেকে। আদিবার পরিচয় টা দিয়ে দেয়! আদিবার এই দুনিয়াতে আপনজন বলতে শুধু ওর তিন ভাই আর কেউ নাই। আদিবার বাবা মা বোন একটা এক্স*সিডেন্টে মারা যায়। আদিবা সেই থেকে ৩ভাই কাছে বড় হয়েছে। আদিবা ছোট বেলা থেকে অনেক জিদ্দ আর রাগ বেশি.! যাহ একবার চাই সেইটায় তাকে দিতেই হবে। যাই হোক আদিবা রুমে বসে সব কিছু ভাবতে লাগলো। কিভাবে আদিত্যকে ওর মায়ার জালে ফাঁসাবে। আর এইদিকে আদিত্য নদীর পারে বসে থেকে পাথর ছু”ড়ছে। আর ভাবছে?
আদিত্য: মেয়েটাকে আসলেই ওইভাবে না মারলেও পারতাম। না ঠিক করছি প্রথম কলেজে এসেছে। এতো বেহায়ার মতো আসতে হবে কে?
উ:আদিত্য ভাবতে ভাবতে এখানে বসে থেকে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আদিত্য উঠে ওর বাসায় চলে যায়! বাসায় গিয়ে আদিত্য দেখে ওর আব্বু কাদের সাথে জেনো কথা বলছে।আদিত্য দেখতে পেলো ওর আব্বু অনেকটা রেগে গেছে! আদিত্য দূর থেকে লক্ষ করলো.! লোক গুলো একজন ওর আব্বুর কোলার ধরে আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে কি যেনো বলে চলে গেলো। আদিত্য একটা টেক্সট করে দিলো! আদিত্য রুমে ঢুকে ওর আব্বুকে বললো?
আদিত্য: আব্বু তোমার শরীল ঠিক আছে!
আদিত্যর আব্বু: হুম ঠিক আছে! তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো.!
আদিত্য: ওকে!
উ:আদিত্য রুমে চলে গেলো রুমে যেতে। একটা টেক্সট আসলো! আদিত্য ফোনটা রেখে ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে নিলো! ড্রেস পড়ে নিচে চলে গেল?
আদিত্য: আব্বু আমি একটু বের হচ্ছি! তুমি রাতে খেয়ে নিয়েও আর শুনো? তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাও। আজ আবার আমার জন্য অপেক্ষা করো না!
আদিত্যর আব্বু: আদিত্য তোমাকে বাড়িতে একটা মিনিট পাওয়া যায় বলো তো! সারাদিন বাহিরে থাকো আব্বুকে কিছু সময় ও তো দিতে পারো।আমার বয়স হয়েছে তো নাকি? অফিস থেকে এসেছে। যে কারো সাথে একটু মন খুলে কথা বলবো? সেইটা মানুষ পর্যন্ত নাই!
আদিত্য:আব্বু তুমি সত্যি কথা বলার মানুষ দরকার!
আদিত্য আব্বু: হ্যা, কিন্তু তুমি আমার সাথে কথা বলার সময় পাও না।
আদিত্য: আব্বু তাহলে একটা কাজ করো! একটা বিয়ে করে ফেলো! তাহলে কথা বলার মানুষ ও পাবে আর পাশে থাকার মানুষ ও পাবে!
উ:আদিত্য আব্বু যে পানি খেতে যাবে। সাথে সাথে বেশম খেলো! রেগে আদিত্যকে ছ্যান্ডেল দিয়ে ডিল মারলো! আদিত্য ক্যাচ ধরে বললো?
আদিত্য; কি হলো আমি তো ভালো কথায় বললাম। আগে বিয়ে করো নাই আমি ছোট ছিলাম তার জন্য। বাট এখন তো বড় হয়ে গেছি তাই না।
আদিত্যর আব্বু: মার খাবে তুমি! আমি আগেই বিয়ে করি নাই। আর এই বুড়ো বয়সে এসেছে বিয়ে করবো হ্যা! বিয়ে কথা যখন উঠলোই একটা কাজ করি। তোমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। অন্তত বউয়ের টানে বাসায় থাকবে।
আদিত্য: ওইসব মাথায় ও নিয়ে এসেছো না! আমি বিয়ে করতে পারবো না! আমার এই সব বিয়ে টিয়ে ভালো লাগে না।আমি যেমন সিঙ্গেল আসছি এইটায় বেস্ট আছি। বিয়ে করলে খালি প্যারা! আচ্ছা আব্বু শুনো আমার কথাটা ভেবে দেখো? আমি এখন যায়! সত্যি একটা বিয়ে করলে তোমারই ভালো হবে দেখো!
উ: আদিত্য আব্বু আবার ডিল মারতে যাবে। সাথে সাথে আদিত্য দৌড়ে পালিয়ে যায়। আদিত্য এখন থেকে সোজা একটা জঙলের ভিতরে চলে যায়। সেইখানে গিয়ে বাইকটা সব কিছু দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়। তার পর আস্তে আস্তে করে জঙলের মধ্যে চলে যায়! তার পর কালো একটা মাক্স আর সম্পূর্ণ শরীল ঢেকে কালো জ্যাকেট পড়ে নেয়। জাকেট দিয়ে মাথা সম্পূন দেখে রেখেছে। হাতে কালো হ্যান্ডগ্লোক্স পড়ে নাই ! তার পর আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকতে লাগলো! তার পর একটা পুরোনো মূর্তির পিছনে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে। মাটির নিচ থেকে একটা সুরঙ্গ বের দেখা যায়। আদিত্য আস্তে আস্তে নিচে সিঁড়িয়ে বয়ে চলে গেলো। তার পর দুইটা হাত তালি দিতে সরঙ্গটা বন্ধ হয়ে গেলো। আদিত্যকে দেখে সব ছেলে মেয়ে নিচের দিকে মাথা করে ফেললো। আদিত্য গিয়ে হাতে ইশারা কিছু বুঝাতে বলো?
রাকিব: বস, ওনি মুখ খুলছে না!
উ:আদিত্য আবার হাতে ইশারা দিতে সাথে সাথে একটা লোক ক্যারেন্টের শক দিতে লাগলো। আর আর গরম পানি চোখের উপরে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে লাগলো! লোক তিনটা জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো। কিন্তু মুখে কোনো শব্দ বাহিরে বের হওয়ার মতো অবস্থায় নাই। কারণ তিনজনের মুখে বেধে দিয়েছে। আদিত্য একটা চাকু দিয়ে একটা লোকের হাতে আগুন এক কপে কেটে ফেললো! কারণ ওই হাত দিয়ে আদিত্যর আব্বুর কোলার ধরছিলো! তখন রাকিব বললো?
রাকিব; বস ওরা কিছু বলবে?
উ:আদিত্য ইশারা করতে ওদের মুখ বাধন খুলে দেয়। তার পর এক এক করে বলতে লাগলো! আদিত্যর আব্বু বিজনেস পার্টনার হলে ওদের কোম্পানির এক করলে। দুইজনের অনেক লাভ হবে। কিন্তু আদিত্য আব্বু গরীবের হোক সেই মেরে খেতে দিবে না৷ যার কারণে বার বার ওদের বস হুমকি দিচ্ছিল! যদি ১তারিখের ভিতরে না রাজি হয় তাহলে নাকি? আদিত্য র আব্বুকে মেরে ফেলবে! এই টুকু বলতে সাথে সাথে আদিত্য চাকু দিয়ে গলায় ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। আরেকজনের এক ফেঁসে গলা নামিয়ে ফেলে। আরেকজনের বুকের কয়েকটা কপ দিতে লাগলো! তার পর আদিত্য ওদের ইশারা করে ওইখান থেকে বের হয়ে যায়। আদিত্য বের হয়ে সব খুলে আবার বাইক নিয়ে চলে যায়! আর হ্যা আপনাদের বলতে ভুলে গেছি। রাকিব আদিত্যর ডান হাত হলেও রাকিব জানে না! যে আদিত্য ওদের বস ওই শুধু কলেজে আদিত্যর যে বেস্ট ফ্রেন্ড এইটায় জানে। আজ পর্যন্ত কেউ দেখে নাই ওদের বসকে! আদিত্য চলে যেতে গেলে পিছনে কেউ একজন আদিত্যকে দেখে ফেলে! সাথে সাথে আদিত্য ওর চোখ ফাকি দিয়ে.! ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়ায় আদিত্যকে না দেখে যেই পিছনে ঘুড়তে যাবে। সাথে সাথে আদিত্য ঘাড় ধরে ভেঙে ফেলে। আর জানুয়ারের মতো ওকে মারে এমন ভাবে মারে যেনো কোনো পশু ওকে মেরেছে। আদিত্য সুন্দর ভাবে ওকে নিয়ে রাস্তার এক পাশে ফেলে দিয়ে। বাইক নিয়ে চলে যায় ! আর এইদিকে রাকিব বের হয়ে দেখে যাকে ওই আদিত্যকে দেখার জন্য পাঠায়ছিলো তাকে খুজে পেলো না। রাকিব অনেক জায়গায় খুজলো বাট কোথাও পেলো না! রাকিব আর ওইখানে দেড়ি না করে লাশ গুলো প্রতিবারে মতো .! ওদের গোপনে মাছের পুকুর আছে সেইখানে ফেলে দিয়ে। ওই বাড়িতে চলে যায়! আর এইদিকে আদিত্য বাইক থামিয়ে ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। চাঁদের আলো টা একদম নদীর উপরে এসেছে পড়েছে। পানি গুলো যখন ঢেউ দেয় তখন মনে হয় চাঁদ ও ঢেউ ভেসে যাচ্ছে। আদিত্য প্রতিদিনের মতো আজ ও সেই ভাবে দাঁড়িয়ে দেখছিলো? হঠাৎ করে পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো.??
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে সংগৃহীত-অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প
বিষয়: #ইসলাম #লেখিকা #সাইমা #হ্যাপি