বৃহস্পতিবার ● ৩ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » উপকারভোগী গরীবের চাল অবাধে বিত্রিু,আটক ১৩বস্তা ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে কান্ড!
উপকারভোগী গরীবের চাল অবাধে বিত্রিু,আটক ১৩বস্তা ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে কান্ড!
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাতকে উপকারভোগী গরীবের চালের তালিকায় কোটিপতিদের নাম। কালো থাবা ১০ টাকার চালে বিঘা বিঘা জমি, দোতলা বাড়ি, কোটি টাকার সম্পদ, সছল ব্যবসায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের আত্মীয়স্বজনরা পাচ্ছে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ সুবিধা পাচ্ছেন। সরকারি ১০ টাকা কেজি চাল তুলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করেছে ডিলাম শামীম। একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে তোলা হচ্ছে অন্যজনের চাল, ভূতুরে নামও ব্যবহার হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে ডিলারের চালের গুদামে চাল বিত্রিুর এঘটনা ঘটে। এমন অভিযোগে জনতা ১৩ বস্তা চাল আটকের পর জব্দ করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। জানা যায়, সরকার কর্তৃক ৩০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চাল সাড়ে ৪শ টাকা দরে ডিলারের কাছ থেকে কার্ডধারিরা ক্রয় করার নিয়ম আছে। এ হিসেবে উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নং-ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব তালিকায় কার্ডধারি রয়েছে প্রায় ৫শ’৮২জন ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার থেকে এইসব খাদ্য বান্ধব কার্ডধারিদের মাঝে চাল বিক্রি শুরু করেন ডিলার। দ্বিতীয় দিন গত বুধবার সকাল থেকে চাল বিক্রি শুরু হলে অনেকেই ওই গুদাম এলাকায় বিক্রি করে চলে যান। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলার আওয়ামীলীগ প্রস্তুতি কমিটির উপজেলার যুন্ম সম্পাদক গয়াছ আহমদের ছেলে চাল ডিলার শামীম আহমদ নির্ধারিত কার্ড ছাড়া অবৈধভাবে অনেকের কাছে সরকারী চালের বস্তা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ডিলার কর্তৃক গুদামের পাশে টেলাগাড়িতে ৭বস্তা, বারান্দায় বিক্রির জন্য আরও ১৩ বস্তা চাল রাখলে স্থানীয় জনতা এগুলো আটক করে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদার আলমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে জড়ো হন। এই সুযোগে পালিয়ে যান চাল ডিলার শামীম। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদের দুইজন কর্মকর্তা। তারা ১৩ বস্তা চাল জব্দ করেন। টেলা গাড়ির ৭ বস্তার মধ্যে কার্ড দেখিয়ে ৫বস্তা ক্রয়কৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন এবং ২ বস্তা স্থানীয় দোকানির জিম্মায় রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ডিলার কর্তৃক সরকারী চাল বিক্রির নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেই ক্রয় করে দ্বিগুন লাভ পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি কওে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তার এ সিন্ডিকেটে রয়েছে লাকেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে সিদ্দেক আলীসহ আরও অনেকেই।
ফলে বিশাল ভর্তুকি দিলেও প্রকৃত গরিবদের কাছে যাচ্ছে না সুবিধা। অনেকে একে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ বদলে ‘মেম্বার-চেয়ারম্যানবান্ধব কর্মসূচি’ হিসেবে অভিহিত করছেন। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তালিকা করেন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন তারা। এর মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা অভাবের সময়ে কম দামে চাল পায়। কিন্ত‘ এতে সমস্যা সৃষ্টি করছে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, ভুয়া কার্ডধারী শনাক্ত করা হয়। সেখানে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়নি। এখনো অনিয়ম একেবারেই নেই তা বলা যাবে না। তবে অনিয়ম দুর্নীতিতে ডুবছে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পিনাক পাণি ভট্রাচার্য বলেন, ১৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওইদিন রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি তিনি করেছেন। এব্যাপারে থানা ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন রাতে ১৩বস্তা চাল নিয়ে সাধারন ডায়েরি হয়েছে বলে এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।
বিষয়: #উপকারভোগী