মঙ্গলবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
আব্দুল জলিল, লন্ডন, যুক্তরাজ্য:
খবরে জানা যায়, অতি সম্প্রতি সিলেট বিমানবন্দর নিয়ে দেশে বিদেশে দাবী বেশ জোরদার হচ্ছে । বিগত সরকারের আমলে উন্নয়নের বিরাট ঢাকঢোল পিটালেও এবং সিলেটের তেলবাজ অথর্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন দাবী জানাতে হয় না, তিনি নিজ থেকে সব দাবী পূরণ করে দেন’, সদা বললেও গত পনর বছরে সিলেট প্রচন্ড বৈষম্যের শিকার হয়েছে । ঢাকা-সিলেট চারলেন মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট ডুয়েলগজ রেলপথ, সিলেট বিমানবন্দর কোনটিই আজও পূর্ণতার মুখ দেখেনি ।
২০১৮ সালে ঢাকা-সিলেট চারলেন প্রকল্প চায়না হারবারের সাথে ২০২২ সালে সম্পন্ন করার চুক্তি হয় । তৎকালীন সড়ক সচিব নজরুল ইসলাম খাঁনকে চীনা কোম্পানী হাস্যকর ৫০ লাখ টাকা নাকি ঘুষ দিতে চায়, এই অজুহাতে চুক্তি বাতিল করে দেয় সরকার । এখন এডিবির বড় অর্থায়নে ১৭ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ গত বছর শুরু হয়েছে, তবে ২০২৬ সালেও শেষ হবে কি না সন্দেহ । সিলেট বিমানবন্দর নতুন টার্মিনাল নির্মানের জন্য ২৩০৯ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চীনা বিইউসিজি কোম্পানীকে দেওয়ার পর ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট কাজ শুরু হয়, যা ২০২৩ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি মাত্র ২২% ভাগ কাজ হয়েছে । ধরা পড়েছে নকশায় ত্রুটি । বেবিচকের বিবেকহীন কর্মকর্তারা আজ পর্যন্ত সে ত্রুটির সমাধান করতে পারেন নি । তবে সবচেয়ে বড় কথা সাবেক মন্ত্রী ফারূক খাঁন গত ফেব্রুয়ারিতে সিলেট বিমানবন্দর দেখতে এসে জানান, সরকারের টাকার সমস্যা আছে । অর্থাৎ আগের সরকার এ কাজের বরাদ্দ অর্থ অন্যত্র ব্যয় করে ফেলেছে । তাই এখন সকল মহল থেকে অবিলম্বে একবাক্যে সরকারের কাছে অর্থ ছাড়ের দাবী জানাতে হবে ।
এ কথা সকলের জানা, দেশের বিমানবন্দরগুলি বিমানের মহাশক্তিশালী দূর্ণিতীবাজ সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী, যে কারণে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলি তাদের কাঙ্খিত সেবা মান পায় না । স্মরণ করা যেতে পারে ২০১৫ সালের ১লা এপ্রিল ফ্লাইদুবাইয়ের প্রথম ফ্লাইটে ওসমানীতে নামার পর বিমানের সিলেট বিদ্বেষী কুচক্রীরা গ্রাউন্ডহ্যান্ডলিং করতে অস্বীকার করে, ফলে পরদিন থেকে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় । অথচ, একটি ফ্লাইটের হ্যান্ডলিং (ল্যান্ডিং ও টেকঅফ) বাবত ২ হাজার ডলার নগদ আয় হয়ে থাকে । তাই এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূরীকরণের একমাত্র সমাধান হল, বিমানবন্দরগুলির গ্রাউন্ডহ্যান্ডলিং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণে টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বখ্যাত ‘ডানাটা’ বা ‘সুইসপোর্ট’ কোম্পানীকে দিতে হবে । ঢাকা তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ডহ্যান্ডলিং জাপানকে দেওয়া হচ্ছে জেনে বিমান সিন্ডিকেটের অসতরা হটাত সাধু হয়ে তা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । ওসমানীতে প্রথমে বিদেশী এয়ারলাইন্স আসার অনুকুল পরিবেশ সৃস্টি করে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে । ফ্লাইদুবাই, এয়ার এরাবিয়া, ফ্লাইনাস সিলেট আসতে পারে । এমিরেটসও এক সময় সিলেট ও চট্টগ্রাম আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল । বাংলাদেশের আকাশকে ‘অপেন স্কাই’ নিতী অনুসরণ করে সবার জন্য তা উন্মুক্ত করে দিতে হবে । সরকারকে আমীরাত ও সউদি সরকারকে ফ্লাইট চালানোর অনুরোধ জানাতে হবে । যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এমপিরা বৃটিশ এয়ারওয়েজকে সপ্তাহে সিলেট এবং ঢাকায় অন্ততঃ দুটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানাতে পারেন ।
ওসমানী একদিন সত্যিকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হবে, অবহেলিত সিলেটবাসী সে প্রতীক্ষায় থাকবে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত:
বিষয়: #আন্তর্জাতিক #আব্দুল #ওসমানী #জলিল #বিমানবন্দর #যুক্তরাজ্য #লন্ডন