শুক্রবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বালু-পাথর লুটতরাজ বন্ধে বাশেঁর বেড়া
সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বালু-পাথর লুটতরাজ বন্ধে বাশেঁর বেড়া
আল হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে বালি পাথর লুটতরাজ বন্ধে নদীর প্রবেশ মুখে লাল নিশান সংবলিত বাশেঁর বেড়া দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ইসমাইল রহমান,তহশিলদার ছিদ্দিকুর রহমান পুলিশ,ডিবি সহ দিনভর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদীর মোহনা থেকে চলতি নদীর প্রবেশ মুখে বাশেঁর বেড়া দেন।
প্রশাসন জানায়,একটি শক্তিশালী বালুখেকো সিন্ডিকেট দিনে ও রাতে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে বিভিন্ন নৌপরিবহন দ্বারা বালু-পাথর উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ সহ অন্যান্য বাহিনীর লোকজন প্রায়ই অভিযান চালান। বড় বড় নৌকাও জব্দ করেন এবং যথারীতি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে নৌকা ছাড়িয়ে পুনরায় একই কায়দায় বালু-পাথর উত্তোলন করে ঐ চক্রটি। এ নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা সহ নানা ফোরামে কথা উঠে,এমনকি পরিবেশ বাদী সংগঠনের পক্ষ থেকেও সভা সমাবেশ হয় তার পর ও থেমে নেই অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ। অতি সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদীর (ধোপাজান) মোহনা থেকে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহণ প্রতিরোধের জন্য সুরমা নদীর মোহনা থেকে অর্থাৎ চলতি নদীর প্রবেশ মুখ থেকে উত্তর সীমান্ত খাসিয়া পাহাড় পর্যন্ত অংশে সকল ধরনের বাল্কহেড নৌকা সহ বালু পরিবহণে ব্যবহৃত জলযান প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ জারি করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আবারও সেই অবৈধ কাজ কারবার চলে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর শুক্রবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ধোপাজান চলতি নদীর প্রবেশ মুখে বাশেঁর বেড়া দেন। যাতে অবৈধভাবে উত্তোলন কৃত বালু-পাথর পরিবহনের নৌকা যাতায়াত করতে না পারে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন,ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে সরকারের মূল্যবান খনিজ সম্পদ বালি পাথরের অফুরন্ত ভান্ডার বিদ্যমান। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে ঐ বালিপাথর মহালটি ইজারা না হওয়ার সুযোগে একটি চোরাকারবারী সিন্ডিকেট দেদারছে বালি পাথর লুটতরাজের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন এই সম্পদ সংরক্ষনের জন্যই নদীর প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দিয়েছে।