সোমবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ঘুস নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে - বিপাকে এক প্রবাসি পরিবার
ঘুস নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে - বিপাকে এক প্রবাসি পরিবার
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতকে ভুমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার এডি এম রুহুল আমিন ঘুস নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এক প্রবাসি ও তার পরিবার। স্থানীয়দের দাবি দলিল বা নকশায় কোন রাস্তার হদিস না থাকলেও বড় অংকের অর্থ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন সুনামগঞ্জ আদালতে দাখিল করেছেন দুনীতিবাজ সার্ভেয়ার। ঘুস কেলেংকারি ঘটনায় দুনীতিবাজ সাভেয়ার এডি এম রুহুল আমিনের চাকুরী থেকে ছাতক থেকে সামরিক বরখাস্ত হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত সোমবার সকালে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের শেওলাপাড়া গ্রামের প্রবাসি আবুল কালামের স্ত্রী মিনা বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামে মৃত মাওলানা এখলাছুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছোবহান ও সাভেয়ার এডি এম রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
জানা,যায় ২০০১ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর মিনা বেগমের দাদা শশুর মখদ্দুছ আলী ৪হাজার ১শত ৯৪ নং রেজিষ্টার সাফ কবালা মূলে ০.১২২০ একর জমি খরিদত্রুমে মালিক হয়েছে। তার দাদা শশুর মখদ্দুছ আলী মৃত্যু পর উত্তরাধিকারী হিসেবে এ ভূমি মিনা বেগমের স্বামি আবুল কালাম ২০০০ইং সালের ১ ফেরুয়ারী আব্দুল খালিকের কাছ থেকে রেজিস্ট্রার মূলে খরিদসুত্রে মালিক দখলেও রয়েছে। এমতা অবস্থায় আব্দুল খালিকের অপর ভ্রাতা লাবিক মিয়া ১হাজার ৭শত ৬৯ দাগে জমির দাবী করলে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর ৩হাজার ৮শত ৬২ নং দলিল মূলে রেজিস্ট্রার করে দাবী পরিশোধ করেছে। পরবর্তীতে এ জমি সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ নামধারি আব্দুল সালাম জোবপুবক দখলের জন্য লাবিক মিয়া ২০২৩ সালের ১১ জুন ১হাজার ৭শত ৪৯ নং রেজিঃ কবালা মূলে ২০২২ সালে ২৩ নভেম্বর ৪হাজার ৪৬ নং দলিল মূলে এ ভুমি আনোয়ারা গং থেকে ২০২২ সালে ১৬ নভেম্বও ও কাঞ্চনমালা থেকে দলিল সৃজন করেন। যার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ আদালতে বিবিধ মোকাদ্দমা নং ১২৪/২০২২ দায়ের করেন একই গ্রামের মৃত হাজী মাওলানা এখলাছুর রহমানের ছেলে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলা করে। এ মামলাটি তদন্তের জন্য ছাতকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন সুনামগঞ্জ আদালত। এতে তৎকালিন সার্ভেয়ার এডিএম রুহুল আমিন সরেজমিনে তদন্ত করেন। এতে স্থানীয় দলিল ও ম্যাপে রাস্তার কোনো অস্থিত্ব না থাকলেও অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন সুনামগঞ্জ আদালতে । এ ভুল তথ্যে কারনে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এ প্রবাসি পরিবার। এছাড়াও এ ঘটনায় গত ২৭ জুলাই মিনা বেগমের দেবর সফিকুর রহমান বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে এ অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে । এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়টি পুর্ন তদন্ত করে ঘুস কেলেংকারি দুনীতিবাজ সার্ভেয়ার এডিএম রুহুল আমিন সহ দুষকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করেছেন প্রবাসী পরিবার ।এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার ভুমি আবু নাসির অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এঘটনায় জেলা প্রশাসকের নিদেশে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বাথে কিছু বলা যাবে না।
বিষয়: #ঘুস #পরিবার #প্রবাসি