বুধবার ● ৬ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুনামগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসার্জেন্ট এর বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভাতা ভোগের অভিযোগ
সুনামগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসার্জেন্ট এর বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভাতা ভোগের অভিযোগ
আল হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ধনু মিয়া নামীয় রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা,জাল জালিয়াতি প্রতারনার আশ্রয়ে অবৈধভাবে ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত সাবেক এক সেনা সার্জেন্ট এর বিরুদ্ধে। অভিযোগে প্রকাশ,বালিয়াঘাট গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদিরের পুত্র আনসার সদস্য ধনু মিয়া ১৯৭১ সালে বালাট সাবসেক্টরে অধীনে বিভিন্ন রনাঙ্গনে কৃতিত্বের সাথে লড়াই করেন। উক্ত মুক্তিযোদ্ধার লাল মুক্তিবার্তায় ৫০২০৮০১৫ এবং বেসামরিক গেজেটে ৩৩৩৬ নং ক্রমিকে নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,একই বালিয়াঘাট থেকে ১৯৭২ইং সনের ১৯ এপ্রিল ধন মিয়া নামে অপর এক ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে ১৯৯৬ইং সনে অবসর গ্রহন করে। পেনশন লাভের পর আরো বেশি পাওয়ার অসদুদ্দেশ্যে উক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসার্জেন্ট ধন মিয়া নিজেকে ধনু মিয়া বলে দাবী করত: ভোটার আইডি কার্ডসহ যাবতীয় কাগজপত্র সংশোধন করত: মুক্তিযোদ্ধা ধনু মিয়া সেজে ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় নিজের ছেলেমেয়ের নামে চাকুরী ভাগিয়ে নেয়। গত ১৭/১১/২০২১ইং উক্ত প্রতারক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার নামে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ধনু মিয়া (আনসার) এর ছেলে মোঃ ময়না মিয়া কোন ন্যায়বিচার পাননি। সুনামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অবিলম্বে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ধন মিয়াকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে অবৈধভাবে ভোগ করা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ধনু মিয়ার নামীয় ভাতার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত হকদারদের কাছে তুলে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়া অভিযোগের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধন মিয়া কর্তৃক সুনামগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ভাতার ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার জন্যও ব্যাংক কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট ধন মিয়া বলেন,আমি আগে মুক্তিযুদ্ধে যাই পরে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে অবসরে আছি। একজন সেনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ইবিআরসি তালিকায় আমার নাম আছে। তিনি কয়েকটি সার্টিফিকেট দেখালেও এগুলোর কোন ফটোকপি সাংবাদিকদেরকে প্রদান করতে রাজি হননি। সুনামগঞ্জ শহরতলীর মাইজবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ বলেন,তাহিরপুরের বালিয়াঘাট গ্রামের আনসার সদস্য ধনু মিয়া হচ্ছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। অন্যদিকে একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ধন মিয়া আদৌ মুক্তিযোদ্ধা নন। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ধনু মিয়ার সন্তানেরা। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট ধন মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
বিষয়: #অবসরপ্রাপ্ত #অভিযোগ #ভাতা #ভূয়া #ভোগ #মুক্তিযোদ্ধা #সুনামগঞ্জ #সেনাসার্জেন্ট