শনিবার ● ৯ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৪দিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৫টি পরিবার বাড়ি ফিরে হতবাক! ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে সর্বত্র নিয়ে যায়! এতে বাদ যায়নি প্রতিবন্ধীর পরিবারও! নেই মাথা গোজার ঠাঁই!
৪দিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ৫টি পরিবার বাড়ি ফিরে হতবাক! ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে সর্বত্র নিয়ে যায়! এতে বাদ যায়নি প্রতিবন্ধীর পরিবারও! নেই মাথা গোজার ঠাঁই!
মৌলভীবাজার থেকে ফিরে বুলবুল আহমেদ:-
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আগিউন গ্রামে ঘটেছে এক নারকীয় তান্ডব! পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় ৫টি পরিবারের বাড়ি ঘরে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে হামলা ও লুটপাট করে ঘরের মালামাল ভাংচুর, টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদি পশু সহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও ভাংচুরের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
মামলা ও হামলায় ভয়ে ৫টি পরিবারের লোকজন তাদের গৃহ পালিত পশু গরু, হাঁস, মোরাগ, টিউবওয়েল, ফ্রীজ, টাকা-পয়সা, ধান সহ যাবতীয় জিনিসপত্র রেখে বিভিন্ন স্থানে পাগলের ন্যায় জীবন যাপন করে আসছিলেন। এতে নিরুপায় হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মৌলভীবাজারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ইংরেজী তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন, আয়শা বেগম নামের এক মহিলা।
এ মামলার খবর পেয়ে আসামীরা নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিলে তাদের মধ্যে এক অজানা আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ফেলে পাগলের ন্যায় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন৷ অবশেষে গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মৌলভীবাজার ক্যাম্পে অসহায় ও নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে আয়শা বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তাদের অভিযোগটি সেনাবাহিনী আমলে নেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ৮ নভেম্বর বিকেলে ঘর-বাড়ি ছাড়া ৫ মহিলাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পাঠান।
অভিযোগে আরো জানাযায়, গত ১৩ অক্টোবর পূর্ব বিরুদ্ধের জের ধরে মৌলভীবাজার জেলা থানার ৪নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আগিউন গ্রামের মিঠু মিয়া ও ফখরুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ফখরুল ইসলাম মারা জান। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিরীহ পরিবারের লোকজনকে আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়৷ যারা এই ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না তারাও এই হত্যা মামলায় আসামী হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এর মধ্যে মামলার ভয়ে বাড়ি- ঘরে পুরুষ শূন্য থাকায় মহিলাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় ২০লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে বাদ পড়েনি প্রতিবন্ধীর পরিবারও। এবং যাওয়ার সময় তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘর- বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযোগকারী আয়েশা বেগম সহ আরো অনেকেই বলেন, ৫টি পরিবারের সারা জীবনের সবটুকু কামাই অর্থ সম্পদ একদিনেই সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি আমরা।
এ ব্যাপারে নিততের ভাই মামলার বাদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ভাইর হত্যাকান্ডের পর আমরা তার শোকে কাতর। আমার ভাই হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। অপর কোন পক্ষ তাদের বাড়ি- ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে। আর এর দায় তারা আমাদের উপর দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী অসহায় ৫ পরিবারে বৃদ্ধ মহিলা, স্কুল ছাত্রী সহ মামলার অন্যান্য আসামীর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, তাদের লোকজনের আঘাতে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের লোকজনের উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এতে হামলা ও গ্রেফতারর ভয়ে আমাদের বাড়ি- ঘর পুরুষ শূন্য। এ সুযোগে তারা এক জোট হয়ে ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর মতো বরর্বর নির্যাতন করে আমাদের ঘর বাড়ির সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে গরু, ছাগল, টাকা-পয়সা নিয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উধর্তন কর্মকর্তা ও বর্তমান ইউনূস সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বিষয়: #ঘরবাড়ি #ভাংচুর #হতবাক