সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবার।।হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পরিবার।।হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
” লাশ আনতে থানার সামনে লোকজনের ভীড়।
চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা দিয়েছেন পিতা।। “
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক কিশোরীকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় কিশোরীর পরিবারের লোকজন।
এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনা শুনে বিষয়টি বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করেন।
এমন সংবাদ পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর নির্দেশে এসআই রিয়াজ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে উপস্থিত হন।
হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে কিশোরী মৃত বলে জানতে পারেন থানা পুলিশ।
তখন কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্বজনরা পুলিশকে জানান,বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে পরিবারের সকলের অগোচরে ঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন।
এ অবস্হায় দেখে সবাই চিৎকার শুরু করেন এবং ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসার ঘটনাটি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদেরকে জানান।
পরে পুলিশ লাশটি সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নন্দীপাড়া (বাদাউরি) মহল্লায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, আনিছ মিয়ার প্রথম স্ত্রী’র দুটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রেখে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ২য় আরেকটি সংসার করে সেখানেই জীবন যাপন শুরু করেন।
এদিকে আনিছ মিয়ার মিয়ার স্ত্রী ১৭ বছর বয়সী কিশোরী রুবিনা আক্তার ও তার দু’টি পুত্র সন্তানসহ ৩ জনকে নিয়ে অন্যর বাড়িঘরে কাজকর্ম করে দিনপাত চালিয়ে আসছেন।
কিশোরী রুবিনা আক্তারের ছোট্ট এক ভাই ও বড় এক রয়েছে।
আজ ১০ নভেম্বর (রবিবার) বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে মা ও তার দু’ভাই ঘরে ছিলেননা বলে জানাযায়।
দু’ভাই ছিলো বাহিরে কাজের মধ্যে এবং মা গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে।
এই সুযোগে কিশোরী রুবিনা আক্তার(১৭) ঘরের মধ্যে তীরের সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে।
কিছুক্ষণ পর মা এসে এই অবস্থায় মেয়েকে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
এই ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত না করে তারা কিশোরীকে নামিয়ে হাসপাতাল নিয়ে যান বলে পরিবারের লোকজন জানান।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে রাত ৯টা ২০মিনিটের দিকে যোগাযোগ করলে তিনি লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এসআই রিয়াজসহ একদল পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশটি কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে রাত ১০টার দিকে এসআই রিয়াজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি কিশোরীর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা সুইসাইড হতে পারে।
লাশটি বর্তমানে থানায় রয়েছে।
আগামীকাল পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশটি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হবে।
এবং পরিবারের কোন ধরনের অভিযোগ না থাকার কারনে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হবে।
অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে থানা পুলিশ কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই রিপোর্ট লেখা কালীন সময় রাত ১১টা পর্যন্ত থানার সামনে এলাকার শত,শত লোকজন অবস্থান করছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়।
পরে রাত ১১টা ১০মিনিটের দিকে কিশোরীর প্রতিবেশী এবং থানায় অবস্থান নেওয়া আতাউর রহমান নামের এক যুবকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঐ যুবক জানায়,কিশোরীর পরিবারটি খুবই গরীব ও অসহায়।
পোস্টমর্টেম হলে তারা এতো টাকা পাবে কোথায়।
তারা কোন টাকা পয়সাও তেমন খরচ করতে পারবেনা।
মহিলাটি বাহিরে বাহিরে কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
মেয়েটি খুবই ভালো ছিলো।
পরিবারের কারও সাথে কোন ঝগড়া বিবাদ হয় নাই।
কি কারণে এমনটা করলো একমাত্র আল্লাহ্ পাক ভালো জানেন।
মেয়েটির মা ও ছোট্ট ভাই রয়েছেন থানায় মেয়ের পাশে।
এছাড়াও এলাকার সর্দার প্রধানগনও এসেছেন।
কিন্তু মেয়ের পিতা চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা দিয়েছেন তিনি আসার পর এর একটা সমাধান হবে বলেন যুবকটি।
বিষয়: #উদ্ধার #কিশোরী #ঝুলন্ত #বানিয়াচং #লাশ #হবিগঞ্জ