শুক্রবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক দুনীতি অনিয়মের ঘটনার তদন্তে সত্যতা প্রমান মিলছে
ছাতকে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক দুনীতি অনিয়মের ঘটনার তদন্তে সত্যতা প্রমান মিলছে
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
ছাতকে উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ,উপ-সহকারি প্রকৌশলী এম এ জাসির,কার্যকরণ সহকারি এবি সিদ্দিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগের ঘটনায় সিলেট অঞলের এলজিইডি নিবাহী প্রকৌলশী মোঃ শাহ আলম নেতৃত্বে তদন্তের দুনীতি অনিয়মের ঘটনার সত্যতা প্রমান মিলছে। এ প্রকল্পের নেই সাইনবোর্ড।২০টি আইটেম দিয়ে কাজ করেনি ঠিকাদার।
২০২২ সালের ৬ মার্চ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগ্ওা ইউনিয়নের প্যাকেজ (এসডিআইআরআইআইপি)এর আওতায় আরএইচডি বিলপাড় স্কিম,প্রকল্প কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ৩দফায় ২ কোটি ৭৮লাখ ৭৪হাজার ৬শ’৪৭টাকা বরাদ্ধ করা হয়। এ প্রল্পের বিধিমতো ঠিকাদার কাজ না করে উপজেলার প্রকৌশলীর সঙ্গে গোপন চুক্তি করে নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মের ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে গত ২২ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগের এলজিইডি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে গোবিন্দনগর গ্রামের উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল,সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন নাাজমুল ও শামীম হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তিরা বাদী হয়ে উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ,উপ-সহকারি প্রকৌশলী এম এ জাসির,কার্যকরণ সহকারি এবি সিদ্দিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ঘটনায় গত বৃহম্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত সিলেট অঞল এলজিইডি নিবাহী প্রকৌলশী মোঃ শাহ আলম নেতৃতে¦ একিিট টিম গোবিন্দগঞ্জ-বিলপাড় সড়ক থেকে তিন পাটে ২ কিলোমিটার আরসিসি চালাই কাজের পাকা সড়কের ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির তদন্ত শুরু করেছিল।
জানা যায়, এ প্রকল্পের সরেজমিনে এসে তদন্তটিম প্রকল্পের সাইন বোর্ড ও আরসিসি চালাইয়ের মাপের ব্যাপক গড় মিল ধরা পড়েছে। আট ইঞ্জি মধ্যে ৫ ইঞ্জি ও ৬ ইঞ্জি চালাইল কাজ করছেন ঠিকাদার। প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুর রহমান এন্টারপ্রাইজের অনুকুলে কাজ নেয়া হয়। এ রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারে বিরুদ্ধে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রাস্তার কাজ তদারকীতে বামনা উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফলতি আছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট সিমেন্ট নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনো অনিয়মের মাধ্যমে এ কাজ তাড়াতাড়ি সমাপ্ত করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাতক উপজেলায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটিতে সিমেন্টের মাত্রা কম থাকায় পাথর বের হয়ে আসছে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্ধে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।এলজিইডির ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ তার বিরুদ্ধে আনা সবঅভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অধীনে টেন্ডারের চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে, ২ কোটি ৭৮লাখ ৭৪হাজার ৬শ’৪৭টাকা। উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে এবং কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে সিলেটের এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ রাস্তা কাজের অনিয়মের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের সত্যতা প্রমান মিলছে বলে তিনি নিশ্চিত করছেন।
বিষয়: #ছাতক #সড়ক