রবিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জামালগঞ্জে আগাম লাউ চাষে সফল নারী মর্জিনা
জামালগঞ্জে আগাম লাউ চাষে সফল নারী মর্জিনা
মো: ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
জামালগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরঞ্চলের একজন গৃহীনি মর্জিনা বেগম। সংসার সামাল দিয়ে গরু ছাগল পালনের পাশা-পাশী বাড়ীর চারপাশে ২ বিঘা জমিতে আগাম লাউ সহ মুলা, ডাটা, কুমরা, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন।
প্রতি বছরের তুলনায় এবারও একমাস আগ থেকে লাউ বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন মর্জিনা। সবজীর চাষ করে মর্জিনা এখন স্বাবলম্ভী। মর্জিনার মত অনেক নারীরা কৃষি কাজে সফলতা এনেছে। তারা এখন অভাবকে জয় করে স্বপ্ন বুনছেন সফলতার। শীত গ্রীস্ম, বর্ষায় সবধরনের সবজী চাষ করেন নারীরা। পরিবারের চাহিদা মিটাতে পুরুষের পাশা-পাশী নারীরা এখন কৃষিতে ঝুকছেন। বিশেষ করে সবজী উপাদনে নারীদের সফলতা চোখে পড়ার মত। পরিবারের চাহিদা মিটাতে নারীরা এখন কৃষি কাজে ঝুকে পড়েছেন। কৃষক কৃষানীর প্রচেষ্টায় সবজী উৎপাদন এখন উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে েেজলা বিভাগীয় শহরে রপ্তানী করা হচ্ছে। উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবস্থা করে একই জায়গায় পর পর ২ ফসলও করা হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশী নারীদেরকে কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় কৃষকের চেয়ে সবজী আবােেদ নারীরা এগিয়ে রয়েছে। কখন কোন ফসল উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যাবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষন নিচ্ছে নারীরা। নারীরা তাদের দেয়া পরামর্শ গ্রহন করে সংসারে এনেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। আবার কোন কোন নারী বিভিন্ন এনজিও কাছ থেকে ঋন নিয়ে সবজীর আবাদ করেছেন। সবজীও মসলা জাতীয় ফসলের চাষ করে উপজেলার প্রায় শতাধিক নারীর ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছে। তাদের উৎপাদিত সবজী উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মর্জিনা বেগম জানান ১ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছে। এতে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে। আরো প্রায় লাখ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবো। লাউ গাছ চাষের পর জালি কুমড়া চাষ করবো। তখন আর মাচা করতে হবেনা। একই মাচাই চলবে। শুধু কুমড়ার চারা লাগালেই হবে। এছাড়াও তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ আধা বিঘা জমিতে ডাটা চাষ করেছেন। এমনি ভাবে মর্জিনার মতো কম খরচে লাভের হিসাব দেখে হুসনা বানু, জমিলা খাতুন তারাও সবজী চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। মর্জিনা বলেন একমাস আগে প্রতিটি লাউ প্রথম ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রয় করেছি বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন এই উপজেলায় প্রায় সারা বছরই সবজির উৎপাদন হয়ে থাকে। পুরুষের পাশাপাশী নারীরাও কৃষি কাজে সফলতা এনেছে। অনেক নারীরা লাউ, শিম, কুমড়া সহ বিভিন্ন সবজী চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়: #আগাম #চাষ #জামালগঞ্জ #নারী #মর্জিনা #লাউ #সফল