মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই : রিয়ার এডমিরাল শাহীন
মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই : রিয়ার এডমিরাল শাহীন
মনির হোসেন, মোংলা
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেছেন, ৭৪ বছর ধরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে মোংলা বন্দর।
চলমান ৪টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ এশিয়ার আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য এ বন্দরের গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুবিধা সৃষ্টি হবে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে বন্দরের আরো আধুনিকায়ন করতে চাই।
১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় বন্দরের জেটি চত্বরে সংস্থাটির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে বন্দরে আগত সমুদ্রগামী জাহাজের বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল দূষণ থেকে বন্দর চ্যানেল এবং সুন্দরবন রক্ষা পাবে এবং বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ, নিরাপদ চ্যানেল বিনির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে মোংলা বন্দরের কার্যক্ষমতা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২.৩০%, কার্গো ৯.৭২%, কন্টেইনার ১৬.৭৮% এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন কিবরিয়া হক, সদস্য (অর্থ) আবেদ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. একে এম আনিসুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুজ্জামান, উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান, সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেনসহ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাগণ, বন্দরের সকল বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, বন্দর ব্যবহারকারী, আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য,দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দরটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, মোটর গাড়ী, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তেলবীজ, এলপিজি গ্যাস আমদানি এবং সাদামাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাকড়া, ক্লে টাইলস, রেশমী কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে।
বিষয়: #আধুনিক #বন্দর #মোংলা