বুধবার ● ৫ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১৬ শতাংশ কমে মে মাসে রফতানি আয় ৪০৭ কোটি ডলার
১৬ শতাংশ কমে মে মাসে রফতানি আয় ৪০৭ কোটি ডলার
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, মে মাসে দেশে রফতানি থেকে আয় এসেছে ৪০৭ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ কম। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রফতানি থেকে এসেছে ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭৭ কোটি ডলার কম।
৫ জুন, বুধবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, মে মাসের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম।
তবে গত জুলাই থেকে মে প্রান্তিকে রফতানি কিছুটা বেড়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রফতানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে তিন দশমিক ৯৩ শতাংশ।
রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে বরাবরের মতোই তালিকার প্রথমে তৈরি পোশাক। আর রফতানি কমেছে চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্যের।
ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে জাতীয় রফতানিতে ৮৪ শতাংশের বেশি অবদান রাখা পোশাক রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
হিমায়িত মৎস্য খাত থেকে আয় ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৫ লাখ ডলার যা গত বছর ছিল ৪০ কোটি ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের আয় কমেছে ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ৯৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার। তবে চামড়ার জুতা থেকে রফতানি আয় ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে আয় হয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।
যদিও চামড়ার জুতা থেকে রফতানি আয় কমেছে কিন্তু নন লেদার জুতা থেকে আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ খাতটি গত ১১ মাসে আয় করেছে ৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। হোম টেক্সটাইল পণ্যের রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কম। কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৮৪ দশমিক ৬৩ কোটি ডলার।
সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে পরিচিত ওষুধ শিল্প থেকে রফতানি আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ খাত থেকে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্য থেকে আয় হয়েছে ২২ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
বিষয়: #১৬ শতাংশ কমে মে মাসে রফতানি আয় ৪০৭ কোটি ডলার