বুধবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১২ ঘন্টা পর দায়সারা তথ্য প্রদান!
১২ ঘন্টা পর দায়সারা তথ্য প্রদান!
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ২ দোকানের ৩ মালিকের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি।।”
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ২টি দোকান পুড়ে ৩ জন ব্যবসায়ীর ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান গুলোর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে,বিকাল ৪টা ২৬মিনিটে মুঠোফোনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহকারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এরকম কোন খবরা খবর জানেননা বলে জানান!
অথচ ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলো তারা এরকম কোন খবরা খবর ঐ জানেননা!
তারপর তাদের পক্ষ হতে বলা হয় তারা জেনে এবিষয়ে তথ্য প্রদান করবেন।তাৎক্ষণিক এই বিষয়টি উপজেলা(ভূমি)
এ্যাসিল্যান্ডকে অবগত করা হয়।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ৩টি দোকান মালিকের ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন মর্মে জানানো হয়।
সরকার থেকে তাদের নামে বরাদ্দ আসলে তাদেরকে সহযোগীতা করা হবে জানিয়ে বলেন,তাদেরকে ইউনিয়ন অফিস সচিব জানানোর কথা থাকলেও সচিব এই বিষয়টি জানায়নি।
এমনকি তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সেও এই বিষয়টি অবগত নয় বলে জানায় তাদেরকে।
তাই এই বিলম্বটুকু হয়েছে বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী নোমান মিয়া।
এব্যাপারে সহকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভূমি)সন্ধ্যা ৬টার পর এমনই তথ্য প্রদান করে বলেন,আমি অবগত করার পরপরই তিনি এই আগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
জানাযায়,৪ ডিসেম্বর(বুধবার)
উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলি বাজারের একটি খাবারের মালামাল তৈরীর(বেকারির)
মধ্যে গভীর রাত ফজরের আজানের পূর্ব মুহূর্তে আগুন লাগার বিষয়টি আচ করতে পারেন মালিক আব্দাল মিয়া।
তাৎক্ষণিক তিনি চিৎকার শুরু করলে বাজারের থাকা ব্যবসায়ীগন ছুটে আসেন এবং আশপাশের বাড়িঘরের লোকজন ছুটে এসে প্রানপ্রন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন।
রাতের এই চিৎকার শুনে বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ছুটাছুটি করে বাজারে ছুটে এসে ২/৩ ঘন্টার মতো চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
ততক্ষণে এই দুটি দোকান ঘরে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্টান পুড়ে ছারখার হয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানান।
পুড়ে যাওয়া ৩টি দোকান মালিকের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা সদরের ধুলিয়াখাল গ্রামের বেকারি ব্যাবসায়ী আব্দাল মিয়া জানান,তিনি এই বাজারে ৭/৮বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
কিন্তু আগুনে পুড়ে তার সবশেষ হয়ে গেলো।
তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন এখন পরিবার পরিজনকে নিয়ে কিভাবে চলবেন এসব বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানান ৮/১০লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে বলেন,তার পাশে নিলেশ বাবুর একটি ওয়ার্কসপ পুড়ে লক্ষাধিক টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবং বিধান বাবুর কয়েকটি কাপড়ের গাইড পুড়ে লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
তারা একটি মালিকের দু’টি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ৩জনে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
এই দোকান ঘরটি তৈরী করতে নিম্নে ১৫/২০লাখ টাকা পরিমাণ লাগবে বলে বেকারি ব্যবসায়ী আব্দাল মিয়া জানিয়েছেন।
আব্দাল মিয়ার সাথে বেলা ৫টা ৩৮ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করাকালীন সময়ে উপজেলা থেকে কোন খুঁজ খবর নেওয়া হয়েছে কিংবা কেউ গিয়ে পরিদর্শন করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব তথ্য উপাত্ত দিয়ে জানান,একমাত্র আমি ঐ নাকি প্রথম তাদের বিষয়ে একটু এভাবে জানতে চেয়েছি!
কেউই তাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেননি জানিয়ে বলেন,সরকার থেকে যদি তাদেরকে একটু সহযোগীতা করা হয় তাহলেই হয়তো কিছু একটা করে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারবেন জানিয়েছেন।
আমরা সাংবাদিকরা মিলে যেন তাদেরকে একটু সহযোগীতা করি।
এব্যাপারে ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়ন সচিব এর মুঠোফোন নাম্বার(০১৭১৯-২৩৯৮২১)যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ১২ ঘন্টা পরও আগুনের বিষয়টি জানতে না পারায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার শুনা যাচ্ছে।
বিষয়: #ঘন্টা #তথ্য #দায়সারা #পর #প্রদান