শুক্রবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জামালগঞ্জে পুকুর পাড়ে সবজী চাষে দ্বিগুন লাভ চাষীদের
জামালগঞ্জে পুকুর পাড়ে সবজী চাষে দ্বিগুন লাভ চাষীদের
মো: ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
পুকুর পাড়ে সবজী ও দেশীয় ফলের চাষ করে জামালগঞ্জের মাছ-চাষীদের ভাগ্য বদলে গেছে। মাছ-চাষের প্রায় ৪০ শতাংশ লাভ আসে পুকুড়ের সবজী ও দেশীয় ফলমুল চাষ করে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পুকুর পাড়ে মাছ চাষীরা সবজী ও দেশীয় ফলের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ কৃষক ধানের জমিতে পুকুর তৈরী করে মাছের চাষে ঝুকছেন। এক সময় এক ফসলী জমিতে শুধু বোরো ধানের আবাদ হতো। এক দশকের ব্যবধানে উপজেলায় অনেক বাড়ী কিংবা এক ফসলী উচু জমিতে পুকুর খনন করে মাচের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন প্রায় প্রতিটি মাছ চাষী। এতে তাদের উৎপাদন বেড়ে অনেকেই লাভের মুখ দেখছেন। এসব সবজী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় পুকুর পাড় সহ আবাদ যোগ্য কোন জমি যেন পতিত না থাকে সেজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তরা কৃষক সহ মাছ চাষীদের উদ্ভোদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলার মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাড়ীর আঙ্গিনা, পুকুর পাড় সহ পরিত্যাক্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষে উদ্বোদ্ধ করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পুকুর গুলো ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ পুকুর পাড়ে সবজী সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছে সবজী দুলছে। পুকুর পাড়ের মাচায় লাউ, কুমড়া, শসা, শিম সহ বিভিন্ন সবজী মাচায় ঝুলছে। আবার অনেক পুকুর পাড়ে কলা, আম, জলফুই, নারিকেল, পেপে জাম ও বিভিন্ন ধরনের ফল গাছে ফলমুল উৎপাদন করছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াহালট গ্রামের মৎস্যচাষী মো: আব্দুল বাতিন জানান আমার ২ একরের পুকুরের পাড়ে লাউ, পেপে, কলা, লেবু পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজী ও ফলের গাছ চাষ করেছি। এপর্যন্ত ২৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আরও ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবো আশা করছি। পুকুরের মাছ চাষের ৪০ শতাংশ লাভ এসেছে সবজী বিক্রি করে।
মাছ চাষী সাইদুর রহমান জানান আমার পুকুর পাড়ে মাছ চাষের পাশা-পাশী নারিকেল, কলা, বিভিন্ন ধরনের কুুল বড়ই, সহ বিভিন্নস সবজী চাষে মাছের লাভের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুকুর পাড়ে ফলমুল থেকে লাভ হয়। এতে তেমন খরচ হয়না মাছের পাহাড়াদারই ফলমুল গাছের দেখা শুনা করে থাকে। তিনি আরো জানান যারা পুকুরে মাছ চাষ করেন তারা যদি প্রতিটি পুকুর পাড়ে বিভিন্ন সবজী চাষ করেন তাহলে মাছ চাষের খরচ অনেকটাই সবজী থেকে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা সুমন কুমার সাহা বলেন আবাদযোগ্য সব জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি পুকুর পাড় যেন চাষবাদের আওতায় আনা যায় সেজন্য উপজেলার সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্চেন।
বিষয়: #চাষ #চাষী #জামালগঞ্জ #দ্বিগুন #পাড় #পুকুর #লাভ #সবজী