সোমবার ● ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মেগা প্রোজেক্টে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ হাসিনা
মেগা প্রোজেক্টে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ হাসিনা
” যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ”
লন্ডন থেকে আজিজুল আম্বিয়া::
মানবতা বিরোধী অপরাধী, জাতির পিতার হত্যাকারী ও জঙ্গিদের যেভাবে বিচার হয়েছে, ঠিক একইভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের দোষর ইউনুস ও তার সহযোগীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। এমন্তব্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার। রোববার দুপুর ২টায় পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ আয়োজিত‘‘ কথিত আওয়ামী লীগের ভাষায় অবৈধ অসাংবিধানিক রাষ্ট্রক্ষমতা জবরদখলকারীদের পদত্যাগ-মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার-অবিলম্ভে সকল গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে “ আয়োজিত জনসভায় ভ্যার্চুয়্যালী যুক্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি বলেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস ও তার দোষরদের পরিকল্পনা ছিল ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে একটি উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা।
ঠিক সেই সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা মাফিক সে ও তার মাষ্টার মাইন্ডরা এবং স্বাধীরতা বিরোধী গোষ্টী বাংলাশেকে শ্মসানে পরিণত করেছে। তার যে ক্ষমতা দখল করার পরিকল্পনা ছিল সেটি সকলের কাছে পরিস্কার হয়েছে আমেরিকায় তার মাষ্টারমাইন্ডদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। আমি তো রক্তপাত চাইনি, যতদিন যাচ্ছে সকলের সামনে তাদের পরিকল্পনা পরিস্কার হচ্ছে। আবু সাঈদ , মুগ্ধ থেকে শুরু করে ৩ হাজার পুলিশ-আনসার সহ দেশের সাধারন মানুষকে হত্যা করেছে। এর পর থেকে শুরু হয়েছে দেশে অরাজকতা, নেই আইনের শাসন । নেই ন্যায় বিচার। এরা কি চায় ? তা জাতির সামনে পরিস্কার। দেশব্যাপী চলছে লুটপাট, অন্যায় অত্যাচার, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী-ও হলি আর্টিজেনে হামলাকারী দুদর্ষ জঙ্গিদের কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছে। অন্য দিকে সাধানরন মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী , সাংবাদিক সুশীল
সকলকে নির্বিচারে প্রতিদিন গ্রেফতার করা হচ্ছে । শিক্ষকদের করা হচ্ছে অপমানিত। দেশ ব্যাপী চলছে অরাজকতা, হিন্দু খৃষ্টান সহ মাইনরিটিদের বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্টান লুট ও অগ্নি সংযোগ, তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাধু, দরবেশ পীর আউলিয়ার মাজার, মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্টান।
সাধূ চিম্ময়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পক্ষে কোন আইনজীবিকে আদালতে দাড়াতে দেয়া হয়নি। নেই আইনের শাসন ইউনুস তো ছিল সাজাপ্রাপ্ত আসামী তার পরেও তাকে বেইল দিয়েছে আদালত। এখন দেশের ম্যাজিস্ট্রেট কোট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট চলে মাষ্টার মাইন্ডদের নির্দেশে। সাংবাদিকদের এক্রেডিয়েশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে সকলকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এই দেশ চলছে মাষ্টার মাইন্ডদের ইচ্ছে মাফিক। আমাদের করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধীদের আইনজীবি ছিল তাদের করা হয়েছে এই ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর। সংবিধান লংঘন করে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা জেলাপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা। গতকালকে মৌলবীবাজারের একজন যুবলীগ নেতার বাড়ীতে আগুনু দেয়া হয়েছে। তাকে না পেয়ে অগুনে পড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বৃদ্ধ মা ও চাচীকে।এখন দেশে বিচার নেই , নেই আইনের শাসন । দেশে নেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা । সাংবাদিকরা তাদের ইচছা মাফিক লিখতে পারেনা। সব কথা বলতে পারেনা টেলিভিশনে। আমি তো সবকিছুই অবাদ করে দিয়েছিলাম। সংবাদপত্র ও টিভিতে সমন্বয়করা হুমকি দিয়ে-বলে এসব লিখতে পারবেনা, এভাবে বলতে পারবেনা। ইউনুস তো ক্লিংটন ফাউন্ডেশনে জনগণের টাকা পাচার করে চাঁদা দিয়েছিল। এর হিসেবও একদিন বের হবে , সময় আসছে। সমন্বয়ক ও ইউনুসরা বলছে মেঘাপ্রজেক্টের নামে নাকি অর্থ পাচার হয়েছে। আমি চ্যালেন্জ করলাম পারলে তা বের করুক। দেশে প্রতিদিনই দেয়া হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আমার উপরও ২৫০ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর অধিকাংশই হত্যা মামলা। সময় আসছে কারা খুন করেছে সবই বের হবে। দেশে দ্রব্য মুলেরে উর্ধগতি। সবকিছু চলে গেছে সাধারন মানুষের ক্ষয় ক্ষমতার বাইরে। আমি ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টি জেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ও ভিখারী মুক্ত করেছিলাম। আমি চালু করেছিলাম, বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বর্তমানে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে ।
দরিদ্রদের বৃত্তি সব বন্ধ। এরা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি , গণভবনের সব কিচূ লুটপাট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই লুটপাটে ইউনুস ও তার সমন্বয়করা জড়িত। এমপি হোষ্টেলে আগুন লুটপাট, মেট্রোরেলে আগুন সব কিছুই করেছে সমন্বয়রা। একজন সমন্বয়ক স্বীকার করেছে মেট্রোরেলে আগুন না দিলে , পুলিশকে হত্যা না করলে তাদের আন্দোলন সফল হতো না । সকল সরকারী ছুটি বাতিল করেছে। সব কিছুরই বিচার হবে।ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে সকাল থেকেই মানুষ আসতে শুরু করে। হলে তিল ধারনের ঠাই ছিলনা। বাহিরে ছিলেন অনেক মানুষ । নানান বয়সী কয়েক হাজার মানুষে হল ভরে যায় ।অনেককেই বসার জায়গা না পেয়ে দাড়াতে হয়েছে । তার পরেও কেউ বিরক্ত হয়নি। সকলের কান ছিল শেখ হাসিনা কি বলেন সেদিকে । যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীদের সভাপতি সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে কোরআন তেলাওত করেন জিলু খান । জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী , সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী , সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান সহ যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ।
ক্যাপশনঃ ছবি আছে।
বিষয়: #করলেন #করিনি #কোনো #চ্যালেঞ্জ #দুর্নীতি #প্রোজেক্ট #মেগা #শেখ #হাসিনা