শনিবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডারের আসামী জিয়াউর রহমানকে আদালতে প্রেরণ-ওসি।।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ৯ মার্ডারের আসামী জিয়াউর রহমানকে আদালতে প্রেরণ-ওসি।।
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী এক দফা ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন ১০জন এবং আহত হন শতাধিক এর উপরে।
পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়ের হাতে ১০জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার ১৬ দিন পর ২২ আগষ্ট নিহত এক শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৯টি হত্যার অভিভাবক হয়ে সাবেক দুই এমপি,সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান,কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতৃবৃন্দসহ ১৬০জনকে নামীয় আসামি করে এবং ৩০০জনকে অঞ্জাত আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করেন ছানু মিয়া।
তারপর এই মামলায় এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
এছাড়াও অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৫জনকে এই মামলায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়েছিলো।
তারা বর্তমানে সবাই জেল হাজতে রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহিবুর রহমান মাহির আপন বড় ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া মাহীর আপন বড় ভাই জিয়াউর রহমানকে এই ৯ মার্ডার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি।
এই মামলায় এ-ই পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সর্বশেষ জানতে রাত ৯ টা ৩৬ মিনিটে মামলার আইও এসআই জাহাঙ্গীর আলম আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গতকাল ১৯ ডিসেম্বর
(বৃহস্পতিবার)
গভীর রাতে
উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউপি’র উত্তর সাঙ্গর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসারদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মৃত কিম্মত আলীর পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহির আপন ভাই জিয়াউর রহমান(৪৫)কে গ্রেফতার করেন।
আজ ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার)জিয়াউর রহমানকে ৯ মার্ডারের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার কারনে এই মামলার আসামি হিসাবে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
অন্যদিকে আজমিরীগঞ্জ সদরের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বিরাট গ্রামের আওয়াল মেম্বারের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি আরও বলেন আজ শুক্রবার হওয়ায় এবং আদালত বন্ধ থাকায় জানা সম্ভব হয়নি।
তবে আদালত থেকে জানতে পারলে তিনি অবশ্যই জানাবেন বলে নিশ্চিত করেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে ৫ আগষ্টের ঘটনার পূর্বের দিন থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
এছাড়াও সাবেক এমপি এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ঢাকায় এবং এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান হবিগঞ্জের বাহিরে ছিলেন বলেও তাদের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেন।
কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করার পর সাধারণ জনগণের মধ্যে এক সমালোচনার ঝড় উঠে।
তারা অনেকেই বলেন এমন একটা সত্য ঘটনায় অযথা মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই শিশুর পিতাকে ব্যবহার করে মূল হত্যাকারীদের বাঁচাতেই আরেকটি রাজনৈতিক দল এই কর্মকান্ড চালিয়েছেন।
তারা এসব ঘটনায় যারা নিহত ও আহত হয়েছেন সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের জোরদাবী করেন সরকারের নিকট।
বিষয়: #আদালত #আসামী #ওসি #জিয়াউর #প্রেরণ #বানিয়াচং #মার্ডার #রহমান #হবিগঞ্জ