সোমবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে এলজিইডি প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন বকুল চৌধুরী
ছাতকে এলজিইডি প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন বকুল চৌধুরী
ছাতক প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী এম এ জাসির, কার্যকরণ সহকারি এবি সিদ্দিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল। তিনি গেল ২২ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগের এলজিইডি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসীর পক্ষে দায়ের করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে গেল ১৯ ডিসেম্বর সিলেট অঞ্চল এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌলশী শাহ আলম এর নেতৃত্বে একটি টিম উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-বিলপাড় সড়ক থেকে তিন পাটে ২ কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই কাজের পাকা সড়কের অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত করেন। অভিযোগ উঠেছে, ২০২২ সালের ৬ মার্চ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের প্যাকেজ (এসডিআইআরআইআইপি) এর আওতায় আরএইচডি বিলপাড় স্কিম প্রকল্প কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ৩ দফায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪৭ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। এ প্রকল্পের বিধিমতো ঠিকাদার কাজ না করে উপজেলার প্রকৌশলীর সঙ্গে গোপন চুক্তি করে নয়-ছয় করা হয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুর রহমান এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্পের সাইন বোর্ড ও আরসিসি চালাইয়ের মাপের ব্যাপক গড় মিল ও আট ইঞ্জির মধ্যে ৫ ইঞ্জি ও ৬ ইঞ্জি চালাইল কাজ করছেন ঠিকাদার। এছাড়াও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ, উপ-সহকারি প্রকৌশলী এম এ জাসির, কার্যকরণ সহকারি এবি সিদ্দিক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, এলজিইডির ছাতকের প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ, সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মো. তাওফিক হাসানরা সিন্ডিকেট করে সরকারের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এরা অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দুদক এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে অনিয়ম-দূর্নীতির সত্যতা পাবে বলে তার দাবি। এ ব্যাপারে সিলেটের এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের অনিয়মের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিষয়: #অনিয়ম #এলজিইডি #চৌধুরী #ছাতক #দুর্নীতি #প্রকৌশলী #প্রতিবাদ #বকুল #সংবাদ #সম্মেলন