বুধবার ● ১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আওয়ামী চক্র তান্ডব সুনাই নদীতে অবাধে বালু উত্তোলন জনতার দাবি যোগসাজশে পুলিশ
আওয়ামী চক্র তান্ডব সুনাই নদীতে অবাধে বালু উত্তোলন জনতার দাবি যোগসাজশে পুলিশ
ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের সুনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু লুটপাট উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছ। প্রশাসন নীরব। এসব বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার পরিবেশ প্রতিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকার পরেও তারা দিনে দুপুরে পরিবেশ নিষিদ্ধ লিষ্টার মেশিন দিয়ে এই বালু উত্তোলন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্যপট শতেক ট্রাক্টর ও ছোট্ট ট্রলি গাড়ি দিয়ে অহরহ বালু লুটপাট ব্যস্ত এই জামায়াত আওয়ামীলীগ সিন্ডিকেট। একদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
নির্ভয়ে তারা বালু পাথর উত্তোলন করে চলছে এলাকায় প্রভাবশালী সুবাদে এদেরকে কেউ বাঁধা দিতে সাহস পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
এদের ভয়ানক কারবারে এলাকায় দেখা যায় ধুলো বালুতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা পাঠদানে যাওয়ায় পড়েছে বিপাকে স্কুল ড্রেস, ময়লায় ভরে যায়। রাস্তা দিয়ে ও যাওয়া যাচ্ছে না চলাফেরায় পানি ও কাঁদায় সৃষ্টির কারণে মানুষের চলাচলের সমস্যার সম্মুখীন।
এই বালু লুটপাট উত্তোলনের মুল কারবারিরা হলেন আওয়ামীলীগের নেতারা হলেন বাহাদুরপুর বৈশাকান্দি গ্রামের নুরু মিয়ার পুত্র এবায়দুল্লাহ গাংপাড় নোয়াকুট গ্রামের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জব্বার খোকন, মৃত সোনা মিয়ার পুত্র আসদ্দর আলী, মনিরুজ্জামান সান্ডুল, ছবির খাঁ এর পুত্র মাহফুজ খাঁ চত্রুরা। ওরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ও চাঁদাবাজি করছে।
প্রতিটি ট্রাক্টর থেকে ২০০০/= টাকা করে আদায় করছে। বাহাদুরপুর বৈশাকান্দি গ্রামের লোকজন জানান,এই বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। সরেজমিনে ভিডিও দৃশ্য করতে বাঁধা দেন বালু খেকো গাংপাড় নোয়াকুট গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আসদ্দর আলী, আঞ্চলিক ভাষায় উগ্রতা স্বরে “বলে অ উবাউ ইকানো বালু তোলায় নিষেধ দেও কিতা।
তুমি ভিডিও করছো বিলে-আমারে এবায়দুল্লাহ মোবাইলে কইলো” তখন সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে জানতে চাওয়া হয় এই সুনাই নদীতে বালু উত্তোলনের কোন লিজ আছে আসদ্দর আলী স্বীকার করে লীজ ছাড়াই বালু্ উত্তোলন হচ্ছে। তখনই প্রশ্ন দেখা দেয় এরা এত ক্ষমতার দম্ভোক্তি পায় কোথায় থেকে। ছাতক নৌপুলিশের ইনচাজ আনোয়ার ও থানার পুলিশের যোগ সাজশে এই অবৈধভাবে বালু বানিজ্য চলে বলে এলাকাবাসী জানান।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ১০টায় ছাতক থানায় গিয়ে দেখা যায় তার নমুনার বাস্তবতা এবায়দুল্লাহ গং। এসআই তাজ উদ্দিন কে টাকা ও একটি রাজহাঁস দিয়ে সংবাদ কর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত অটোরিকশা করে চলে যায় তারা। তখনই সকল সমীকরণ মিলে যায় ছাতক থানার কিছু পুলিশের যোগসাজশে প্রতিনিয়ত চলছে এই মহাযজ্ঞ রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদ অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন।এব্যাপারে নৌপুলিশের ইনচাজ আনোয়ার জানান, খোজ খবর নিয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে উপজেলার নিবাহী কর্মকতা তরিকুল ইসলাম বলেন ঘটনাস্থলের খোজ খবর নিয়ে আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: #আওয়ামী #চক্র #তান্ডব