

মঙ্গলবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » খেলা » ধানমন্ডি ক্লাবকে নিয়ে আশাবাদী আশরাফুল, লক্ষ্য সুপার লিগ খেলা
ধানমন্ডি ক্লাবকে নিয়ে আশাবাদী আশরাফুল, লক্ষ্য সুপার লিগ খেলা
অবশেষে স্বপ্ন পূরণ। এবার তিনি নারী ও পুরুষ ক্রিকেট লিগে কোচিং করাবেন হেড কোচের তকমা গায়ে এঁটে। পুরুষ প্রিমিয়ার লিগে ধানমন্ডি ক্লাবের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আর নারী ক্রিকেট লিগে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের প্রধান প্রশিক্ষকও জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক।
এতদিন যেটা ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, নাম বদলে এখন সেটাই শুধুমাত্র ধানমন্ডি ক্লাব। সেই দলের কোচিং করাবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে পুরুষ ও নারী বিভাগে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটারের।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত কয়েক বছর ধরে ওপরের দিকে ছিল ধানমন্ডি ক্লাব। অনেক তারকার মেলাও বসেছিল গত কয়েক বছরে। তবে এবার সেই তারার মেলা নেই। আগের দলের বড় অংশই চলে গেছে অন্য ক্লাবে। ২০২৫ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের শক্তি অনেকটাই কমেছে।
তবে ক্লাবের ছায়াসঙ্গী হয়ে যাওয়া নুরুল হাসান সোহান ঠিকই আছেন। তার নেতৃত্বেই এবার প্রিমিয়ার লিগ খেলবে ধানমন্ডি ক্লাব। সঙ্গে আরও আছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি, ইয়াসির আলী রাব্বি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, হাসান মুরাদ, সানজামুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান সোহান ও আশিকুর রহমান শিবলিসহ এক ঝাঁক তরুণ। কাগজে-কলমে হয়তো ৬-৭ নম্বর দল হতে পারে ধানমন্ডি ক্লাব।
নতুন কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্য এমন কমজোরি দল কি বাড়তি চ্যালেঞ্জ? ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার হেড কোচের দায়িত্ব পেয়েই কি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি? এ দল নিয়ে কতদূর যাওয়ার আশা করছেন?
কোচ আশরাফুল কিন্তু হতাশ নন, বরং আশাবাদী। তার ধারণা, এই দল নিয়ে সুপার লিগ খেলা সম্ভব। যে লাইনআপ আছে, সেটা ক্লিক করলে টপ ফোরে থাকাও অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য আশরাফুলের।
তার কথা, ‘আমাদের দলে বড় তারকা হয়তো তেমন কেউ নেই। কিন্তু যারা আছে, তারা একদম ফেলনা নয়। সোহানের মতো সাহসী, নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট যোদ্ধা আছে, যে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেয়। নেতৃত্বের ক্ষমতা আছে, পারফর্ম করে দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার সামর্থ্যও আছে। ফজলে রাব্বি আর ইয়াসির আলী রাব্বি ঢাকাই ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার। সঙ্গে তরুণ ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আশিকুর রহমান শিবলি, পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি, বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ও সাঞ্জামুল ইসলাম-সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে কার্যকর পারফর্মার।’
‘সবমিলিয়ে খুব ভালো না হলেও খারাপ দল নয়। এ দল নিয়ে অনেক দূর যাওয়া অসম্ভব নয়। আমি তো সুপার লিগ খেলা নিয়ে আশাবাদী। আমার বিশ্বাস, ছেলেরা নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে পারলে সেরা চার দলেও থাকা অসম্ভব নয়’-যোগ করেন আশরাফুল।
বিষয়: #ধানমন্ডি. ক্লাব. নিয়ে. আশাবাদী. আশরাফুল #লক্ষ্য. সুপার. লিগ. খেলা
