

সোমবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫- বছরের সেরা অপারেটরের স্বীকৃতি পেয়েছে গ্রামীণফোন, ইএসজি কার্যক্রমও পেয়েছে সম্মাননা
এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫- বছরের সেরা অপারেটরের স্বীকৃতি পেয়েছে গ্রামীণফোন, ইএসজি কার্যক্রমও পেয়েছে সম্মাননা
[ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫]
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণে অসামান্য অবদান এবং অনন্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করায় সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ দুটি পুরষ্কার জিতেছে দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। পুরষ্কার দুটি হচ্ছে ইএসজি ইনিশিয়েটিভ অব দ্যা ইয়ার - বাংলাদেশ ও মোবাইল অপারেটর অব দ্যা ইয়ার – বাংলাদেশ। গ্রামীণফোনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার (আইডিএস) এবং টেলিযোগাযোগ শিল্পে সেরা সেবা ধরে রাখার জন্য এ দুটি স্বীকৃতি পেয়েছে অপারেটরটি।
বিস্তৃত নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি যা দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সমান। অপারেটরটির টাওয়ারের সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি। দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি এলাকায় নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে অপারেটরটি, যার আওতায় রয়েছে ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী। একটি উদ্ভাবন-বান্ধব কোম্পানি হিসেবে, গ্রামীণফোনই ২০২২ সাথে দেশে প্রথম ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছিল। সেবার মান আধুনিকীকরণের দিকেও নজর দিয়েছে কোম্পানিটি। ’আলো’র মাধ্যমে প্রদান করছে ইউনিফায়েড আইওটি সল্যুশন এবং মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান করছে নিবরচ্ছিন্ন ও সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা। আর মাইজিপি হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ সেলফ সার্ভিস অ্যাপ।
গ্রামীণফোনের টেকসই উদ্যোগগুলো শিল্পখাতে মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ২শ’টির বেশি সৌরশক্তিচালিত নেটওয়ার্ক টাওয়ার পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং বিদ্যুৎ সমস্যা রয়েছে এমন এলাকায়ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। সৌরশক্তিচালিত নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলো সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
২০২৩ সালের মার্চে চালু হওয়া ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার (আইডিএস) উদ্যোগটির লক্ষ্য ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনা। এর আওতায় দেশের ২ হাজার ইউনিয়নে লাখ লাখ গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন করছে গ্রামীণফোন। এই প্রকল্পে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে গ্রামীণ নারীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আয়োজন করা হয় চেনা পরিবেশ- উঠান বৈঠকের। এসব বৈঠকে পারস্পরিক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বৈঠকগুলোতে ডা. তাসনিম জারার সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট তথ্য ও উপকরণসহ নানা কুইজ, পারস্পরিক কার্যক্রম এবং নারীদের উপযোগী বিভিন্ন কনটেন্ট’র মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
শহরেও স্মার্টফোনের ব্যবহারীর সংখ্যা কম এবং গ্রামীণ এলাকায় তা আরো কম; আর অনলাইন ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মোটাদাগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পুরুষ-নারীর অনুপাত ৭০:৩০-এর মতো। নারীদের ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়াতে এবং তথ্য প্রাপ্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে কৌশলগতভাবে কাজ করছে আইডিএস, যাতে তারা অত্যাবশ্যকীয় অনলাইন সেবাগুলো গ্রহণ করেত পারেন। নকিয়া, ঢাকা ব্যাংক ও প্রথম আলোর মতো বিভিন্ন খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আইডিএসের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করেছে যা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল চাহিদা পুরণে সহায়ক।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান বলেন, “আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে ইন্টারনেট ও সংযোগের শক্তির ওপর বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিতে এবং গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানে আমরা সংকল্পবদ্ধ। এই স্বীকৃতিগুলো গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবন, স্থায়ীত্ব এবং সবার জন্য সংযোগ- এসব বিষয়ে আমাদের একাগ্রতার প্রতিফলন। বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাব আমরা।”
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দেয় এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস। এই পুরস্কারগুলো সেই কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয় যারা টেলিযোগাযোগ শিল্পে অগ্রগতি ও পরিবর্তন আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। টেলিযোগাযোগ খাতে উৎকর্ষতার মানদণ্ড নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এশিয়ান টেলিকম অ্যাওয়ার্ডস।
বিষয়: #অ্যাওয়ার্ডস #এশিয়ান #টেলিকম