

মঙ্গলবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিরল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু রাফা, মানবিক সাহায্যের আবেদন
বিরল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু রাফা, মানবিক সাহায্যের আবেদন
ফুটফুটে শিশু মাইসুরা রাফা। তার বয়স মাত্র এক বছর। জন্মের পরেই বিরল রোগে আক্রান্ত রাফা। মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুটির চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। তার বাবা রকিবুল ইসলাম রাইড শেয়ার করে কোনো রকমে সংসার চালান। মা মাহবুবা আক্তার সাথীও একটি প্রকল্পে স্বল্প বেতনে চাকরি করেন।
এক বছর বয়সী মাইসুরা রাফা জন্মের পর থেকেই বিলিয়ারি আত্রেসিয়া নামের বিরল রোগে ভুগছে। টানা ৩ মাস চিকিৎসা করানোর পরও মাইসুরার রোগ শনাক্ত করা যায়নি। পরবর্তী সময় ৩ মাস ৭ দিন বয়সে মাইসুরার এই রোগ ধরা পড়ে এবং চিকিৎসক জানান এই রোগের চিকিৎসা দেশে নেই। বিলিয়ারি আত্রেসিয়া রোগের প্রাথমিক সার্জারি হচ্ছে কাসাই। কিন্তু মাইসুরার সেই সময় পার হয়ে যাওয়ায় একমাত্র চিকিৎসা ছিল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট।
২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট ৭ মাস বয়সে মাইসুরার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে। জমি-জমা, গয়না বিক্রি করে, ব্যাংক লোন নিয়ে, আত্বীয়-স্বজনদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এবং সর্বশেষ সোস্যাল মিডিয়া থেকে ফান্ড কালেক্ট করে চিকিৎসা করা হয় তার। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে তার চিকিৎসার পেছনে। এখনো প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার টেস্ট করাতে হয়। অপারেশনের সময় মাইসুরার ওজন কম থাকার কারণে মাঝপথে ড. মোহাম্মদ রেলা জানান, মাইসুরার ওজন কম তাই মাসেল সেলাই করা সম্ভব না। বলা হয়, এ অবস্থায় মাসেল ওপেন রাখাই মাইসুরার জন্য ভালো এবং সেফ হবে তাই শুধু স্কিন সেলাই করা হয়। পরবর্তী সময় ট্রান্সপ্লান্টের ৬ মাস পরে মাসেল ক্লোজের সার্জারি করতে হবে। এখন মাইসুরা ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে তাই মাসেল ক্লোজের সার্জারি প্রয়োজন।
কেনো প্রয়োজন?
মাসেল ক্লোজ না করলে মাইসুরা পড়ে গেলে বা ব্যথা পেলে আবার লিভার ডেমেজ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই অতি দ্রুত এই অপারেশনটা করতে হবে।
শিশুটির মা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে ট্রান্সপ্লান্টের সময়ে ৬৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। আবার নতুন করে ২০ লাখ টাকা খরচ করা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমার ফুটফুটে শিশুটি আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাবে। আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে আমি একবার লিভার দান করেছি সম্ভব হলে আবার করতাম কিন্তু বার বার হার মানতে হচ্ছে টাকার কাছে। আমার এই ছোট্ট প্রাণপাখিটাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
নিম্নের ঠিকানায় সাহায্য ও যাকাত দেওয়া যাবে:
Bkash + nagad: +8801745427871 (Personal) (বাচ্চার মা)
Bkash + nagad : +8801979990523 (Personal) (বাচ্চার বাবা)
Brac Bank Ltd.
Bank A/C : 1064234600001
A/C Holder: Rokibul Islam
Branch Name : UTTARA JASHIM UDDIN AV BR
Routing Number: 060260385
Mutual Trust Bank.
Bank A/C : 1311001893313
A/C Holder: Rokibul Islam
Branch Name : Shah Mokhdum Avenue Branch
Routing Number: 145264222
বিষয়: #আক্রান্ত #আবেদন #ছোট্ট #বিরল #মানবিক #রাফা #রোগ #শিশু #সাহায্যে