

শনিবার ● ১ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » খুলনা » দৌলতপুরে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে
দৌলতপুরে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে
দৌলতপুর প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মির্জাপুর ভুরকা আল হিরা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি দাবিদার মৃত ওয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোঃ সাহাবুল ইসলাম।
উল্লেখ করেন আমার পিতা মৃত ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা মির্জাপুর ভূরকা অল বিয়া দাখিল মাদ্রাসান সাবেক সভাপতি। তিনি গত ২৫/১২/২০১৭ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে সভাপতি থাকা অবস্থায় উক্ত মাদ্রাসার সুপার হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক সহ আরো ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে যায়। গত ২ বছর পূর্বে আব্দুর বাজ্জাক পদত্যাগ করে ভূরকা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপার এবং অন্যান্য কিছু সংখ্যক পোষ্ট খালি ছিল। বর্তমানে সুগার পোষ্ট ও অন্যান্য শূন্য পেই সাবেক সভাপতির সাক্ষর জালিয়াতি করে বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি কয়েক জনকে নিয়োগ প্রদান করেন যা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এ বিষয়ে তদন্ত চাই আমরা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর ভুরকা আল হিরা দাখিল মাদ্রাসার গেলে দেখা যায় মাদ্রাসায় কোন ছাত্র ছাত্রী নাই। দীর্ঘ দিন খোলা হয় নাই মাদ্রাসা। শিক্ষক কর্মচারী নিজ নিজ মত বিভিন্ন কর্মে ব্যস্ত। বর্তমান মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বলেন সাহাজুল মোল্লা বলেন, নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে অভিযোগ মিথ্যা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন ওয়াজ মোল্লা তার পরে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন পরে ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত সভাপতি ভূরকা পাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম মেলেটারি তার সময়ে সকল নিয়োগ হয়েছে। তবে মাদ্রাসা তো খোলা হয়না চলেনা শিক্ষা কার্যক্রম এমন প্রশ্নের উত্তরে সাহাজুল ইসলাম বলেন সময় হলেই খোলা হয় এবং খাতা কলম ঠিক আছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর ভুরকা আল হিরা দাখিল মাদ্রাসার ২০০৮ সাল থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মেলেটারি বলেন আমি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে মাত্র দুইজন কে নিয়োগ দিয়েছি একজন নৈশপ্রহরী ও একজন অফিস সহকারী। তা ছাড়া আমি কাউকে নিয়োগ দেইনাই যদি কেউ নিয়োগ পেয়ে থাকে তাহলে তা আমার ও সাবেক সভাপতির সাক্ষার জালিয়াতি করে করেছে। আমি ও চাই এমন অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করা হোক।
এ বিষয়ে মির্জাপুর ভুরকা আল হিরা দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান সুপার আব্দুর সাত্তার বলেন মাদ্রাসা এখনো এমপিও ভুক্ত হয় নাই। আমরা নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত করে আসছি। তবে নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল ইসলাম বলেন, এই বিষয় টা আমরা তদন্ত করে দেখব।
বিষয়: #দৌলতপুর #শিক্ষক