

বুধবার ● ৫ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব » সিঙ্গাপুরে নারীর শ্লীলতাহানির দায়ে ভারতীয় নাগরিকের কারাদণ্ড
সিঙ্গাপুরে নারীর শ্লীলতাহানির দায়ে ভারতীয় নাগরিকের কারাদণ্ড
সিঙ্গাপুরে এক নারীর শ্লীলতাহানির দায়ে এক ভারতীয় নাগরিককে সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী এরাক্কোদান আবিনরাজ গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে প্রতিবেশীর কন্ডোমিনিয়াম ইউনিটে প্রবেশ করে এক ৩৬ বছর বয়সী নারীকে অশালীনভাবে স্পর্শ করেন। গোপনীয়তার স্বার্থে ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবিনরাজ ব্যালকনি দিয়ে ওই বাসায় ঢুকে শোবার ঘরে যান, যেখানে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাদের সন্তান অন্য ঘরে ছিল।
ভুক্তভোগী ঘুমন্ত অবস্থায় অনুভব করেন, কেউ তাকে স্পর্শ করছে। ঘুম ভেঙে তিনি দেখতে পান, অভিযুক্ত হাতে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার স্বামী তখনো পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন।
চিৎকার শুনে তার স্বামী জেগে ওঠেন এবং আবিনরাজকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। আতঙ্কে আবিনরাজ তখনই প্রস্রাব করে ফেলেন এবং পুলিশ না ডাকতে অনুরোধ করেন।
ভুক্তভোগী এরপর পুলিশে খবর দিলে আবিনরাজ ঘটনাস্থলেই থাকেন এবং অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেন। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, মোবাইল ফোন ভুল করে ভুক্তভোগীর শরীরে পড়ে গিয়েছিল।
এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষ ছয় থেকে আট মাসের কারাদণ্ড চেয়েছিল। কারণ এটি ছিল ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার লঙ্ঘন। পাশাপাশি, তিনি ঘুমন্ত থাকায় আরও বেশি অসহায় ছিলেন।
আবিনরাজের আইনজীবী আম্বালাভানার রবিদাস সাত মাসের শাস্তির অনুরোধ করেন। তিনি যুক্তি দেন, তার মক্কেল ভারতের একটি সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং তার দাদি আত্মহত্যা করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
তবে প্রসিকিউশনের মতে, ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, আবিনরাজ মানসিকভাবে অসুস্থ নন।
সিঙ্গাপুরের আইনে শ্লীলতাহানির অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি