শিরোনাম:
●   হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা আটক।। ●   মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের ৯ সদস্য গ্রেফতার ●   ছাতকে ভা‌তিজার হা‌তে চাচা খুন ●   বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুরের অভিযোগ। ●   জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে পরবর্তী আপিল শুনানি বুধবার ●   পুলিশের বিশেষ অভিযানে একদিনে গ্রেফতার ১৬৪৭ ●   মোহাম্মদপুরে সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৬ ●   সার্ভার জটিলতায় সারাদেশে এনআইডি সেবা বন্ধ ●   গেজেটের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ: সিইসি ●   নাফ নদী থেকে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরকান আর্মি ●   আত্রাইয়ে ইউপি মেম্বারসহ ৬জন গ্রেফতার ●   আ. লীগ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ●   পুলিশের হাতে থাকবে না প্রাণঘাতী অস্ত্র : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিলসহ জাপা চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার দাবি ●   আ.লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন ●   চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজা জব্দ ●   ট্রাইব্যুনালে হাজির আতিক-টুকু-মামুন-জিয়াউলসহ ১৩ জন ●   বানিয়াচংয়ে ঘটক সেজে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি। নারীসহ ২জন গ্রেফতার। ●   ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কার কাজ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব । ●   সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র-ককটেলসহ গ্রেফতার ৭ ●   পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনাসহ দুইজন কারাগারে ●   হবিগঞ্জের বাহুবল থানার বদলীকৃত এসআই বহাল তবিয়তে/ কনস্টেবলের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ।। ●   বঙ্গোপসাগরে ১২ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছসহ ১১টি নৌকা আটক করেছে নৌবাহিনী ●   যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় ●   আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করতেই জরুরি মিটিং : প্রেসসচিব ●   যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ●   রাণীনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গ্রেফতার ●   তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, কষ্টে শ্রমজীবী মানুষ ●   যমুনা ও সচিবালয়সহ ঢাকায় যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ ●   আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান
ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

Bojrokontho
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ধর্ম » ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস! ।
প্রথম পাতা » ধর্ম » ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস! ।
১০৬ বার পঠিত
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস! ।

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ::

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকীহাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী
হিজরি দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মক্কার কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয় ইতিহাসে তাই বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ।মক্কার কাফেররা রাসূল (সা.) এবং মুমিন বাহিনীকে মক্কা থেকে বের করে দিয়েই চুপ করে বসে থাকেনি, তারা ইসলামকে শেষ করে দেয়ার জন্য নানা ফন্দি আঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে আবু জাহেল আবু সুফিয়ান সিদ্ধান্ত নেয়, এখনই যদি মুহম্মদ বাহিনীকে নিঃশেষ করা না যায় তাহলে এ বাহিনীর সঙ্গে আর কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আবু জাহেল এক হাজার সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত সৈন্য নিয়ে বদরপ্রান্তরে এসে মদিনা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করে। এ খবর জানতে পেরে রাসূল (সা.) মাত্র ৩১৩ জন নিরস্ত্র-প্রায় সাহাবি নিয়ে এ বিশাল সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন।যুদ্ধ শুরুর আগে রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ওগো আল্লাহ, আজ তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। আজ যদি এ কয়জন মুমিন বান্দা মরে যায়, তাহলে তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য আর কোনো মানুষ থাকবে না। তোমার দ্বীনের স্বার্থে তুমি আমাদের বিজয় দান কর। আল্লাহর রাসূলের দোয়া এমনই কবুল হয়েছে, বিশেষ ফেরেশতা নাজিল করে আল্লাহতায়ালা মুমিন বাহিনীকে সাহায্য করেছেন।এ সাহায্যের কথা আবার সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের বদরে সাহায্য করেছেন অথচ সেদিন তোমরা ছিলে অসহায়।বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল, মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করাকে ভয়াবহ গোনাহ মনে করে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় কর্তব্য। আজ মুসলমানদের সামনে সেদিন এসেছে সমাজে শান্তি বজায় রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধৈর্যধারণ করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি তাদের এ কর্তব্য পালনের জন্য আল্লাহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করাও জরুরি। মুসলমান কখনও জাগতিক উপায়-উপকরণ কিংবা সম্পদের ওপর ভরসা করে না। তারা সব সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করে। তার মানে এ নয় যে, উপায়-উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না।বদরের ঘটনায় দেখা যায়, মুসলিম সৈন্যবাহিনী কম থাকায় রাসূল (সা.) নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। রাসূল (সা.) সৈন্যদের বলেছেন, একদল সৈন্য তীর ছুড়ে পেছনে চলে আসবে। তখন পেছন থেকে আরেক দল সৈন্য সামনে গিয়ে তীর ছুড়বে। যাতে শত্রুপক্ষ বুঝতে পারে একই লোক বারবার তীর ছুড়ছে না। বরং মুসলিম মুজাহিদের সংখ্যা মনে হবে অনেক বেশি। তারা একদলের পর একদল এসে তীর ছুড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে রাসূল (সা.) বলেন, আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা রান্না করব। আলাদা আলাদা তাঁবু খাটাব। অনেক বেশি টয়লেট বানাব। যেন শত্রুপক্ষ দূর থেকে দেখে বুঝতে পারে সংখ্যায় আমরা অনেক বেশি।একদিকে রাসূল (সা.) কান্নায় বিগলিত হয়ে মোনাজাত করেছেন, অন্যদিকে সমসাময়িক সব ধরনের যুদ্ধ কৌশলও তিনি রাসূল (সা.) প্রয়োগ করেছেন। মুসলমান যদি আবার তাদের হারানো বিজয় ফিরিয়ে আনতে চায়, তাহলে দোয়া এবং কৌশল দুটোই সঙ্গে করে এগোতে হবে।হে আল্লাহ, বদরের চেতনায় মুসলমান যেভাবে বিজয়ী হয়েছিল আজকের মুসলমানদেরও সেভাবে বিজয় অর্জন করার তাওফিক দিন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেকঃ- ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)