রবিবার ● ৯ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নেত্রকোনার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে ৮০ ধরনের মালামাল উদ্ধার
নেত্রকোনার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে ৮০ ধরনের মালামাল উদ্ধার
নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামে একটি মাছের খামারের দ্বিতল বাড়িতে থাকা জঙ্গি আস্তানা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে ঢাকা থেকে আসা এন্টি টেরোরিজম ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের অভিযান শেষ হয়েছে।
২৯ ঘণ্টার অভিযান চালানোর পর তা সমাপ্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অভিযানে ওই আস্তানা থেকে অস্ত্র ও জিহাদি বইসহ ৮০ ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়ায় প্রফেসর আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তির এ বাড়িতে ৪৭ রাইফেল ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের অসংখ্য সামগ্রী পাওয়া গেছে।
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে পুলিশ। শনিবার বেলা ১টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর থেকে সেখানে পুলিশের অ্যান্টিটেরোরিজম, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল টিমসহ বিভিন্ন ইউনিটের দেড় শতাধিক পুলিশ প্রাথমিক তল্লাশি চালিয়ে একটি ভারতীয় পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি এবং একটি ডামি একে ৪৭ রাইফেল ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও গতকাল রাতে নেত্রকোণা পৌর শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবন ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে সেখানে তৃতীয়তলা একটি ফ্লাটে তল্লাশি চালালেও পুলিশ তেমন কিছু পায়নি।
৯ জুন, রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে উদ্ধারকৃত আলামত উপস্থাপন করে পুলিশ।
এছাড়া দুটি ইলেকট্রিক বোম্ব নিষ্ক্রিয় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি ল্যাপটপ, খেলনা বন্ধুক, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি, রামদা, প্লাস্টিকের খেলনা রাইফেল, বিভিন্ন ধরনের পোশাক, দূরবীন, জিহাদি বইসহ প্রায় ৮০ ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।
এসময় এক প্রেস বিফিংয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেন বক্তব্য দেন।
অভিযান সম্পন্নের ঘোষণা দিয়ে ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, নরসিংদীতে অস্ত্রসহ আরিফ নামে এক ব্যক্তি আটকের ঘটনার সূত্র ধরে এই অভিযান চালানো হয়। এটি জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির।
শাহ আবিদ হোসেন আরো বলেন, অভিযানে পিস্তল, গুলি, ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি, মোবাইল, রামদা, জিহাদি বইসহ ৮০ ধরনের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের সময় দুটি শক্তিশালী আইআইডি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। প্রায় তিন একর জমিতে থাকা উঁচু প্রাচীর দেওয়া বাড়িটিতে জঙ্গিরা বেশকিছু দিন ধরে বসবাস করে আসছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদসহ অনেকে।
বিষয়: #নেত্রকোনা